বন্যার্তদের দিকে নজর না দিয়ে সরকার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসব নিয়ে মেতে আছে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২২ জুন,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৮ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বন্যার্তদের দিকে নজর না দিয়ে সরকার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসব নিয়ে মেতে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, আজকে আমরা যখন এখানে কথা বলছি তখন এ দেশের একটা বিরাট অংশের মানুষ বন্যার পানিতে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। তারা ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সরকার সেদিকে কোনো নজর না দিয়ে, তাদের ত্রাণের জন্য কোনো ব্যবস্থা না করে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের উৎসব নিয়ে মেতে আছে। দুর্ভাগ্য সেই জায়গায় যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, যারা নিজেদের মনে করে এ দেশের উন্নয়নের একমাত্র দাবিদার, তারা উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। তারা এ দেশের মানুষকে অত্যন্ত কষ্ট দিচ্ছে। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অন্যদিকে বন্যা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে, দলীয়করণ করে এই রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। জিয়াউর রহমান স্মৃতি পাঠাগার তাদের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ দেশে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে ভূমিকা পালন করছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধু একজন সৈনিকই ছিলেন না, তিনি শুধু একজন প্রেসিডেন্টই ছিলেন না, তিনি এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এখানেই সমস্যা, এ দেশের একটি দল নিজেদের স্বাধীনতার দাবিদার মনে করে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে খাটো করার জন্য, তাঁর সকল অবদানকে মøান করার জন্য, আজকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে। সেই সময় জিয়া স্মৃতি পাঠাগার জিয়াউর রহমানের স্মৃতিকে উজ্জ্বল করার জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেটা নিঃসন্দেহে আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে অন্তরীণ। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ, তাঁকে বিদেশে পাঠানোর জন্য এবং আমাদের নেতা যিনি আট হাজার মাইল দূরে নির্বাসিত অবস্থায় আছেন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এবং দেশের ৩৫ লাখ মানুষ যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, তাদের মুক্ত করার জন্য আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছি, সেই আন্দোলনে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। একমাত্র জিয়াউর রহমানের আদর্শ যদি আমরা মেনে চলি তাহলে আমরা সফল হব। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনাদের পড়তে হবে। না পড়লে দেশকে জানা যাবে না, জিয়াউর রহমানকেও জানা যাবে না। তাই আসুন আমরা সবাই পড়ি। জিয়াউর রহমানের বই পড়ি এবং অন্যান্য বই পড়ি এবং জ্ঞানের চর্চা করি।
পাঠাগারের সভাপতি ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য দপ্তরে সংযুক্ত আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জহির দীপ্তি, সহ- সভাপতি ফরহাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় কুমার দে রিপন, অর্পণ সংঘের সভাপতি বিথীকা বিনতে হোসেন প্রমুখ।