না’গঞ্জের ফতুল্লায় চাঁদা না পেয়ে যুবলীগ সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি পেটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৩ পিএম, ২২ জুন,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:০৮ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর মুন্সিবাগে চাঁদার দাবি করে না পেয়ে যুবলীগের খালেক-মালেক বাহিনীর সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে আবুল হোসেন (৩৮) নামক এক সিমেন্ট ব্যবসায়ীকে।
আজ বুধবার বেলা ১১ টার দিকে ফতুল্লা থানার কুতুববপুর মুন্সিবাগ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় আহত সিমেন্ট ব্যবসায়ী বাদী হয়ে কুতুবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী খালেক, মালেকসহ ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানাযায়, মুন্সিবাগ এলাকায় আবুল হোসেনের একটি সিমেন্ট বিক্রির দোকান আছে। একই এলাকায় যুবলীগ নামধারী নেতা খালেক-মালেকও সিমেন্টের ব্যবসা করে আসছে। নতুন করে আবুল এলাকায় দোকান দেয়ায় তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল ওই সন্ত্রাসীরা।
এ নিয়ে বাদীকে প্রায় সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বেলা ১১ টার দিকে খালেক বাহিনীর প্রধান খালেক, আনোয়ার, দেলোয়ার, বাদশা, হিব্রু, কয়লা সাহাবুদ্দিন, ফকির খোকন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন সন্ত্রাসী হাতুড়ি, লোহার পাইপ, কাঠের টুকরো নিয়ে আবুলের সিমেন্টের দোকানে প্রবেশ করে চাঁদা দাবি করে।
সে টাকা প্রদানে অস্বীকার করলে দোকান থেকে রাস্তায় টেনে এনে এলোপাতাড়ি মারধর সহ হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ সময় আবুল বাঁচার জন্য আর্তনাত করলে তার মা, স্ত্রীসহ স্বজনেরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকে পেটায়।
হামলার ঘটনাটি উৎসুক একজন মোবাইলে ধারন করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে দেন। মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায় খালেক মালেক বাহিনীর সন্ত্রাসীরা একটি দোকানের সামনের হাঁটু পানির ভিতরে এক যুবককে মারধর করছে। যুবককে রক্ষার্থে বোরখা পরিহিত এক মহিলা এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে হামলাকারীরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খালেক মুন্সি জানায়, আবুল হোসেনের সাথে তার চাচার ব্যবসায়ীক দ্বন্ধ। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে আবুল হোসেন তার চাচাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটায়। তিনি তা দেখতে পেয়ে চাচাকে রক্ষার্থে এগিয়ে যান।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানায়, ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানতে পেরেছি অভিযুক্তরা খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।