আওয়ামীলীগ চোখে রঙিন চশমা পরে ও কানে তালা দিয়ে আছে : কাইয়ুম চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ২২ জুন,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৪ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, নিশিরাতের ভোটেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামীলীগ পত্রপত্রিকা পড়ে না এমনকি টেলিভিশনও দেখেন না। যার ফলে চলমান এ সিলেটে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের তৎপরতা তাদের চোখে পড়ে না। মূল কথা হচ্ছে তারা স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এজন্য তারা সবসময় জিয়া পরিবার ও বিএনপি'র পেছনে পরে থাকেন। তাদের চোখে এখন রঙ্গিন চশমা পরে ও কানে তালা দেয়া। যার ফলে তারা জনগণের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে পান না এমনকি জনগণে আত্মচিৎকার ও তাদের কানে পৌঁছে না। আল্লাহর ওয়াস্তে রঙ্গিন চশমা খুলুন, কানে তালা খুলুন। না হয় পালাবার রাস্তা খুঁজে পাবেন না।
আজ বুধবার সকালে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে দক্ষিণ সুরমার স্টেশন রোডের লাউয়াইয়াই এলাকায় ক্যালিফোনিয়া বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম শিপলু ও সাবেক সভাপতি আব্দুল বাসিতের সহযোগিতায় ২৩০০ মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা নিশি রাতে ভোট চুরি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে। যে কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের সর্বস্তরের জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাতে হবে।
সিলেট জেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, জনগণের সরকার আর প্রহসনের সরকার এক কথা নয়। আর যদি জনগণের সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকত তাহলে এদেশের মানুষকে এত দুঃখ কষ্ট করতে হত না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলেন। এই কর্মসূচিতে নদী খনন ও খাল কাটা ছিল। বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন এসব কর্মসূচি পুনরায় চালু করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে এসব কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়। আজ যদি নদী খনন ও খাল কাটা কর্মসূচি অব্যাহত থাকতো তাহলে আমাদেরকে এভাবে বন্যার পানিতে হাবুডুবু খেতে হতো না। তাই এই স্বৈরাচারী বাকশালী সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে জনগণের সরকারকে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মোঃ শাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক কুহিনূর আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, জাকারিয়া খান, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মকসুদ আহমদ, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, ডা. এনামুল হক, আব্দুল মালিক মল্লিক, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তুরন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুহেল ইবনে রাজা, প্রচার সম্পাদক মাহবুব আলম, নুরুল আমীন, হাজী পাবেল, আলতাব হুসেন, জায়েদুল ইসলাম জায়েদ, রায়হানুল হক, জয়নাল আবেদীন, শাহ টিপু সুলতান, হেলাল আহমদ মামুন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজান, যুবদল নেতা হুমায়ুন রশিদ, আব্দুল বাসিত, আলা উদ্দিন আল ফারাবি, ছাত্রদল নেতা সোহানুর রহমান সামাদ, রাসেল আহমদ, জুয়েল আহমদ, ফাহাদ আহমদ আবির সাকি চৌধুরী প্রমুখ।