বন্যাকবলিতদের জন্য তিনটি কর্মপরিকল্পনা বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১২ পিএম, ১৯ জুন,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:০৫ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
পাহাড়ি ঢলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে তিনটি কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি।
এর মধ্যে রয়েছে-
* প্রথমত, পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার ও তাদের দোরগোড়ায় খাবার পৌছে দেওয়া।
* দ্বিতীয়ত, বন্যা-পরবর্তী সময়ে দুর্গতদের জন্য গৃহ নির্মাণ ও খাবার ওষুধের ব্যবস্থা।
* এবং তৃতীয়ত, বন্যায় যাদের কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে তাদের জন্য বীজতলা তৈরিসহ বিনামূল্যে বীজ বিতরণের ব্যবস্থা কর।
আজ রবিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দলের যৌথসভা শেষে দলটির জাতীয় ত্রাণ কমিটির আহ্বায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। দলের নানা সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রেখে বন্যাকবলিত বানভাসি মানুষকেই বিএনপি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সরকার বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহমর্মী হওয়ার বিপরীতে ২০ লাখ টাকা আর কয়েক টন চাল বরাদ্দ ঘোষণা করেছে। এটা আমি মনে করি জনগণের সঙ্গে ব্যঙ্গ করা। ব্যঙ্গ অবশ্য তারা করতেই পারে। কারণ, তাদেরতো ভোটের প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ সিলেট ও সুনামগঞ্জে তাচ্ছিল্য করে রিলিফ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সিলেট বিভাগে গত ১০০ বছরে এমন বন্যা হয়নি। এ পরিস্থিতিতে বিএনপি গণমানুষের দল হিসেবে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সিলেট জেলা, মহানগর, সুনামগঞ্জ জেলা, পৌরসভা ও ছাতকে দলের নেতাকর্মীরা রিলিফ অপারেশন শুরু করেছেন।
টুকু বলেন, আজকে আমরা দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছি। যেন ত্রাণসামগ্রী মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারি সে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলের প্রতিটি অঙ্গসংগঠন নিজ নিজ ব্যানারে বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলোতে কাজ করবে। প্রতিটি সংগঠনের স্টিয়ারিং কমিটি থাকবে। সেই কমিটি এসব কার্যক্রম মনিটরিং করবে এবং সে অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটিতে রিপোর্ট দেবে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে রিপোর্ট পেয়েছি তাতে আমাদের নেতাকর্মীরা প্রায় ১০ হাজার লোকের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। তারা বড় বড় নৌকা ভাড়া করে পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করছে। প্রায় ১০০ নৌকা এ লক্ষ্যে কাজ করছে। বন্যাকবলিত এলাকায় নৌকাও ঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমাদের ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বন্যাদুর্গত এলাকায় পানিবাহিত রোগবালাই প্রতিরোধে ওষুধ বিতরণ, খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে। এসব কার্যক্রম পর্যালোচনায় আগামী ২১ জুন আবারও ত্রাণ কমিটির বৈঠক হবে এবং সেখানেই পরবর্তী করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
যৌথ সভায় ভার্চুয়ালে সংযুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অন্যদের মধ্যে ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ড্যাব সভাপতি ডা. হারুন আল রশীদ, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপি তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ডি জেড এম রিয়াজুদ্দিন নসু, ডাক্তার শাহ্ আমানউল্লাহ মেহেদী, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।