মূল্যবৃদ্ধির বোঝা জনজীবনে চরম সঙ্কট নিয়ে আসবে : জেবেল রহমান গানি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৯ পিএম, ১৮ জুন,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩২ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়ে ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেছেন, সম্প্রতি সরকার গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধি করেছে। কিছুদিন পূর্বে জ্বালানি তেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে সকল ধরনের দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের জীবনে এক চরম দুরবস্থা বিরাজ করছে। নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষেরা অভুক্ত থেকে দিনাতিপাত করছে। এর উপরে আবার এই মূল্যবৃদ্ধির বোঝা জনজীবনে চরম সঙ্কট নিয়ে আসবে।
আজ শনিবার (১৮ জুন) গুলশানের বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে এই অজুহাত তুলে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে অর্ধেক মূল্যে জ্বালানি তেল কিনছে। রাশিয়া বাংলাদেশকেও আন্তর্জাতিক বাজারের প্রায় অর্ধেক মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সরকার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। তার কারণ দেশবাসী এখনও জানে না।
তিনি বলেন, দফায় দফায় এই মূল্যবৃদ্ধি জনদুর্ভোগ চরম আকারে নিচ্ছে। সরকারকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসাতে হবে।
বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি'র সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী ও মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন।
সভায় সিলেট ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় যে, ভয়াবহ বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় সরকারের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নদীভাঙনে গৃহহারা মানুষ খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসার অভাবে দূুর্বিষহ অবস্থার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। অথচ সরকারের তরফ থেকে কোনো জরুরি তৎপরতা নেই।
সভায় অবিলম্বে সিলেট, সুনামগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামসহ দেশের যেসব অঞ্চল বন্যা ও নদীভাঙনের কবলে পড়েছে, সেসব এলাকায় জরুরিভিত্তিতে সরকারি ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর জোর দাবি জানিয়ে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ স্বচ্ছল ও বিত্তবান মানুষকেও দ্রুততার সঙ্গে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।