পদ্মা সেতু নিয়ে মাতামাতিতে জনগণের ক্ষতি হচ্ছে : আলাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৭ পিএম, ১৭ জুন,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৫১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
পদ্মা সেতু নিয়ে মাতামাতি করে জনগণের ক্ষতি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘এক পদ্মা সেতু নিয়ে যে মাতামাতি করছেন কত মানুষের যে ক্ষতি করেছেন তা কি জানেন? দিন এমন থাকবে না। সময় থাকতে পালিয়ে যান। তা না হলে জনগণ পদ্মা নদীতে আপনাদের চুবাবে। আপনারা যেমন চুবাতে চেয়েছেন। সময় থাকতে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেন।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক অধিকার ফোরামের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, অন্ধকারের পর আলো আসে। দিন পরিবর্তনের আগেই পালিয়ে যান। আপনাদের কর্মের দায়ে জনগণ পদ্মা নদীর পানিতে চুবাবে। যেমনটা আপনারা চুবাতে চেয়েছেন। এখনও সময় আছে গণমানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেন। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, আগের বছর থেকে দেশে এ বছরে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি পাচার হয়েছে। কারা পাচার করেছে? এটা আমার আপনার বলার দরকার নাই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলেছেন কারা টাকা পাচার করেছেন। দেশের সরকারি আমলারা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদরাই টাকা পাচার করেছেন। আলাল আরও বলেন, দেশের জনগণের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি জীবনে ২৩টি আসনে নির্বাচন করেছেন। সবকটি আসনেই তিনি জয় পেয়েছেন। পরাজয় বলতে তার কোনো কিছু নেই। আর এই কারণেই এই অবৈধ সরকারের রোষানলে পড়েছেন তিনি।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হলো কিছু গণবিরোধী কর্মকর্তা, কিছু পুলিশের কর্মকর্তার ওপরে আর বিএনপির জনপ্রিয়তা এদেশের জনগণের দোয়া এবং সমর্থনের ওপরে। শেখ হাসিনার উদ্দেশে আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোনো আওয়ামী লীগের নেতার কাছে হারে নাই। আপনিতো টিকে আছেন এক গোপালগঞ্জ নিয়ে। আপনি তো আঞ্চলিক নেতা। আর এই কারণে বেগম খালেদা জিয়ার ওপর এত অত্যাচার, তাকে এত কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। আপনার (শেখ হাসিনা) গোপালগঞ্জ যেটাকে পারলে আপনি রাজধানী বানান সেই গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। একদিকে গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয় অন্যদিকে বগুড়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। অর্থাৎ পূর্ব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিণ সবদিক থেকে আপনাদের তাসের ঘর ভেঙে পড়ছে। তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) বিদেশি প্রভুদের হতে পায়ে ধরে বলেন- বিএনপি নির্বাচনে আসলে সব সমস্যা সমাধান হয়। আপনারা ওদের হাতে পায়ে ধরার কি আছে? বেগম খালেদা জিয়ার কাছে যান। তাকে মুক্তি দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা করেন। নির্বাচন কমিশন বাতিল করেন। সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ইঃ মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ আবদুল্লাহ আল বাকী, যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম তালুকদার, শফিকুল ইসলাম সবুজ, মোঃ মুসা ফরাজি, আমির হোসেন, দানেশ প্রমুখ।