বাজেটে লাভবান হচ্ছে টাকা পাচারকারীরা : নজরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫২ পিএম, ১২ জুন,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:২৪ এএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাজেটে লাভবান হচ্ছে টাকা পাচারকারী ও দুর্নীতিবাজরা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বাজেটে জিনিসপত্রের নতুন করে দাম বাড়বে। এতে লাভ হবে যারা টাকা পাচার ও লুট করেছে। নজরুল ইসলাম বলেন, দেশে প্রতিনিয়তই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আপনি যদি নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ হন, আপনি গত মাসের আপনার আয় দিয়ে যা কিনতে পেরেছেন, এই মাসে কি তা কিনতে পেরেছেন? আগামী মাসে তো তাও কিনতে পারবেন না। বাজেট আবার নতুন করে বাড়াচ্ছে। কিন্তু লাভ হচ্ছে কার- যারা টাকা পাচার করছে, আমার আপনার টাকা লুট করছে তাদের।
আজ রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁতীদল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রবাসীদের কষ্টের টাকা পাচার করে কানাডায়-মালেশিয়ায় বাড়ি বানাচ্ছে, সুইচ ব্যাংকে টাকা জমাচ্ছে। তারা আবার কিছু টাকা ট্যাক্স দিয়ে ওই পাচার হওয়া সম্পদ দেশে ফেরত নিয়ে আসতে পারবে! সবাই বলছে এইটা একটা অন্যায় সিদ্ধান্ত, এটা প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে, আমাদের সংবিধানের বিরুদ্ধে, ন্যায়-নীতির বিরুদ্ধে। কারণ আমাদের দেশে আইন বলে, কেউ যদি টাকা পাচার করে তাহলে তার সব টাকা বাজেয়াপ্ত করে, দ্বিগুণ জরিমানা করতে হবে এবং ১৪ বছরের জেল হবে। এখন আপনি বলছেন কিছু হবে না, ১০% জমা দিবেন বাংলাদেশের একাউন্টে, এতেই ওই টাকা হালাল। কেউ জিজ্ঞাসাও করবে না! তাহলে এই সরকার কাদের? যারা টাকা চুরি করছে তাদের না? হ্যাঁ- যারা টাকা চুরি করছে তাদের সরকার।
তিনি আরও বলেন, রিপোর্ট আসছে ১৩ হাজার লোক কোটিপটি হচ্ছে। আর কোটি কোটি লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। উন্নয়নের কথা বলেন, তাহলে কার উন্নয়নের কথা বলতেছেন? নিন্ডয়ই ১৩ হাজার লোকের। তাহলে আপনি তাদের সরকার। আপনি আমাদের সরকার না, কারণ আয় কমে গেছে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমাদের কষ্ট বাড়ছে। কিন্তু আপনার আমাদের দিকে নজর নাই, আপনার নজর কোটিপটির দিকে। তাদের উন্নয়ন দেখে আপনি বলছেন অনেক উন্নয়ন হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এ রকমের সরকার আমাদের দরকার নাই, আমাদের স্বার্থ রক্ষা করবে এমন সরকার দরকার। জনগণের সরকার তখনি হবে যদি জনগণ নির্বাচনে ভোটদানের সুযোগ পায়। আপনার-আমার ভোট আদায় করে নিতে হবে। আমি ঠিক করবো কাকে নির্বাচিত করবো। এটা আমার অধিকার। বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। দুইবার বিরোধীদলের নেত্রী হয়েছেন। তিনি এখন কোথায়? জেলখানায়। ৭৬ বছর বয়স। দারুণ অসুস্থ। গতকালও তাঁর হার্টে অপারেশন করা হয়েছে। ডাক্তাররা বলেছেন এডভান্স মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। যেখানে উন্নত চিকিৎসা হয়। সেই মানুষটাকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে । এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই অনির্বাচিত সরকার যত দিন থাকবে, ততদিন কেউ ন্যায় বিচার পাবে না। কেউ পাবে না। এ সময় জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।