গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি গণবিরোধী উদ্যোগ : ডা. শাহাদাত হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ৯ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:১৩ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যখন জনজীবনে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি করছে সেই সময় গ্যাসের ২২.৭৮ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে মরাার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আঘাত করলো। রান্নার চুলা, সার কারখানা, শিল্প কারখানা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহকৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষের দৈনিন্দন জীবনের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে প্রতি ঘন মিটারে ১০ পয়সা ডিমান্ড চার্জ সংযুক্ত করায় কৃষি, শিল্প ও বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। কোনো মতেই জনগণের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব হবেনা। এই ধরনের মূল্য বৃদ্ধি গণবিরোধী উদ্যোগ। তিনি অবিলম্বে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্রে মূল্যে ফিরে যাওয়ার দাবি জানান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সারাদেশের মানুষের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে। এই গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যাবে। জনবিরোধী সরকারের জনগণের জন্য কোনো দায়িত্ব নেই বলেই তারা এই কাজগুলো করতে পারে। কারণ তাদের তো জবাবদিহি করতে হয় না। অপরদিকে বিএনপি যে কোনো রকমের মূল্য বৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা কোনো মতেই এটা সমর্থন করি না। তিনি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়ে ওই প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দীন বলেন, গ্যাসের এই দাম বৃদ্ধি নজিরবিহীন ও অস্বাভাবিক। গাড়ি ভাড়া, বাড়ি ভাড়া সহ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে লাগামহীনভাবে। এমনিতেই কর্মসংস্থান নেই, তার উপর নিত্যপ্রযয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। জনগণের নির্বাচিত সরকার থাকলে এই ধরনের সীমাহীন দাম বৃদ্ধি পেতো না। দাম বৃদ্ধির পেছনে অনৈতিক সিন্ডিকেট কাজ করছে। গরীব অসহায় মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। যেন সরকারের কোন দায় নেই।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সীতাকুন্ডের বিভীষিকাময় ঘটনার পর অসহায় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমরা বিএনপি এবং আমাদের ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অঙ্গরসংগঠনের নেতাকর্মীরা আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে, নগদ অর্থ দিয়েছি। এরপর দিন আমরা সীতাকুন্ডের দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম সকালে, আর সেখানেই গিয়ে শুনতে পাই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে সরকার। শোক দিবস ঘোষণা না করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ঘোষণা করে তারা প্রমাণ করেছে এই সরকার জনবিচ্ছিন্ন সরকার। স্বেচ্ছাসেবক দলের মিটিংয়ে ছাত্রলীগের গুন্ডারা প্রশাসনের সহযোগিতায় হামলা করছে। এইসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে, যদি এ পরিস্থিতি বন্ধ না হয় তাহলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। আজকে মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখে সরকারে শেষ রক্ষা হবে না। এই দিন দিন নয় সামনের দিনে আসামী হয়ে প্রত্যেকটি অপকর্মের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি চমেক হাসপাতালে প্রশাসনের প্রহরায় জোনায়েদ সাকির উপর হামলা ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি জনগণ আজকে দিশেহারা। সরকারের সিন্ডিকেটের কারণে এই অবস্থা হয়েছে। সরকার জনগণের কথা চিন্তা না করে জনগণকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। জনগণ এখন এই সরকারের পাশে নেই। শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা করবো। জনগণের ভোটাধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় আমরা লড়াই করে যাব।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহিলা দল নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দল নেতা শেখ নূর উল্লাহ বাহার, শামসুল আলম (ডক), থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. সালাউদ্দিন, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গির আলম, হাবিবুর রহমান, নগর কৃষক দলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহীন, মৎসজীবী দলের আহবায়ক হাজী নুরুল হক, তাঁতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, কাজী শামছুল আলম, মনজুর আলম মনজু, জমির আহমদ, ফারুক আহমদ, হাজী মো. ইলিয়াছ, খাজা আলাউদ্দিন, এস এম ফরিদুল আলম, শরিফুল ইসলাম, শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, রাসেল পারভেজ সুজন, খন্দকার নুরুল ইসলাম, হাজী মো. বেলাল, হুমায়ুন কবির সোহেল, মো. আজম উদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, হাসান ওসমান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, মো. শফি উল্লাহ, হাজী আবু ফয়েজ, এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান উদ্দীন, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জসিম মিয়া, সাদেকুর রহমান রিপন, মো. হাসান, হাজী মো. জাহেদ, মো. হাসান, সাব্বির আহম্মেদ, নাসিম আহমেদ, আবু সাঈদ হারুন প্রমুখ।