ভাইরাল আ'লীগ নেতা বললেন, 'আঙুল তোমার, টিপ দেবো আমি, ওটা হলো সুষ্ঠু ভোট'
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১০ পিএম, ৪ জুন,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩০ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আবারও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী। ইভিএম নিয়ে এক বিএনপি নেতার জিজ্ঞাসার সূত্র ধরে নির্বাচনী সমাবেশে তিনি বলেন, ‘ইভিএম মানে কী জানো? তোমার আঙুল, কিন্তু টিপ দেব আমি। ওটাই হলো সুষ্ঠু ভোট।’
গতকাল শুক্রবার (৩ জুন) এমন বক্তব্যের ৫৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর পাঁচদিন আগে ইভিএমের বাটন টিপে দেওয়ার জন্য লোক রাখবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এরপর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২ জুন) সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি সিকদারপাড়ার আঙিনায় নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে চট্টগ্রামের ভাষায় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে সুষ্ঠু করি আমরা, অসুষ্ঠু করিও আমরা। আমরা বললে সুষ্ঠু, না বললে অসুষ্ঠু। যেদিকে যায় সেদিকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৌরসভার ভোটের সময় আমাকে এক বিএনপি নেতা ফোন দিয়েছিলেন। আমি বললাম, কী জন্য কথা বলছ বাবাজি। সে বলে, কেন সুষ্ঠু ভোট হবে বলেছে। আমি তাকে বললাম, সুষ্ঠু ভোট হবে তোমাকে কি লিখিত দিয়েছে সরকার? ইভিএমে ভোট হবে। ইভিএম মানে কি জানো? তোমার আঙুল আমি টিপ দেব। ওটা হলো সুষ্ঠু ভোট।’
নির্বাচনের সবার ভোট দিতে যাওয়ার দরকার নেই মন্তব্য করে মুজিবুল হক বলেন, ‘মুসলমানের কাজ হলো একজন নামাজ পড়বে, পেছনে পাঁচ হাজার নামাজ পড়বে। এত মানুষের ভোট দেওয়ার দরকারও নেই।’
এ বিষয়ে মুজিবুল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
এ প্রসঙ্গে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল আলম বলেন, ‘মুজিবুল হকের বক্তব্যের নতুন ভিডিও দেখেছি। তবে তিনি কবে এ বক্তব্য দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি ইসিকে অবহিত করা হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে চাম্বাল ইউনিয়নের বাংলাবাজার ১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের বাটন টিপতে না পারলে টিপে দেওয়ার জন্য নিজের লোক রাখব।’ এমনকি ইভিএম না থাকলে রাতেই সব ভোট নিয়ে ফেলতেন বলেও দাবি করেন তিনি।
মুজিবুল হকের মন্তব্যের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নির্বাচন কমিশন থেকে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। এছাড়া, জেলা প্রশাসক ও পুলিশকে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।