ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে : নার্গিস বেগম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ২ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:০৬ এএম, ২৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, মরহুম তরিকুল ইসলামের সহধর্মীনী, যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে সকলকে লড়াই সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষক এটাই ইতিহাসের বাস্তবতা। এই ইতিহাস বিকৃতি করার যতচেষ্টা করা হোক না কেনো তা কখনো সফল হবে না। একজন সাধারণ মেজর হয়েও জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেশবাসি শুনেছেন। এটাই বাস্তব ইতিহাস।
তিনি ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, জিয়া মুক্তিযোদ্ধা না হলে মুজিবনগর জাদুঘরে সেক্টর কমান্ডারদের মধ্যে অর্ন্তভূক্ত, বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত হলো কি করে? আওয়ামী লীগের মধ্যে একজনও বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত নাই। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বলে, জিয়া যুদ্ধ করে নাই, জিয়া পাকিস্থানের চর ছিলো।
তিনি বলেন, জেডফোর্স তৈরি হলো কেন এবং কিভাবে? আসলে ইতিহাসকে বিকৃতি করতে এক ব্যক্তির কৃতিত্ব প্রতিষ্ঠিত করতেই মুলত এত মিথ্যাচার। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, একজন মেজর হয়েও জিয়াউর রহমান শুধু মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ছিলেন তাই নয়, তিনি দেশপ্রেমে উদ্বুর্দ্ধ হয়ে নিজে যেমন স্বশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তেমনি তাঁর ত্যাগ, অসিম সাহসিকতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক দিকনির্দেশনায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জিত হয়েছিল। সুতরাং শহীদ জিয়ার অবদান অস্বীকার করার অবকাশ নেই।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নানামূখি উন্নয়নমুলক পদক্ষেপ নিয়ে দেশকে স্বনির্ভরতার দিকে নিয়ে যান। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যেমনি ছিল সশস্ত্র সংগ্রামের, তেমনি ছিল বুদ্ধিবৃত্তিক। সফল রাষ্ট্রনায়ক জিয়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিদ্যূৎ, শিল্প, সাংস্কৃতি, ক্রীড়াসহ দেশের সার্বিক অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন।
যশোর উন্নয়নে জিয়ার অবদানকে তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, আমরা একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক। আমাদের পরিচয় আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশি। তিনি বলেন, আমাদের পাশ^বর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বাজ্ঞালীদের বসবাস রয়েছে। তারাও বাংলা ভাষায় কথা বলেন, তাই বলে জাতীয়তাবাদের দিকদিয়ে তারা বাংলা ভাষাভাসি হলেও তারা বাংলাদেশি নন। সে কারণে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ হিসেবে আমাদের জাতীসত্তার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশে বর্তমান প্রতিকুল পরিস্থিতিতে যশোরের ৮টি উপজেলার মধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সকল কর্মসূচি পালন করায় নেতাকর্মীদের ভুমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকালে তিনি ঝিকরগাছা উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র উদ্যোগে আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাতাৎবার্ষিকীর আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন।
ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোর্তজা এলাহী টিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নি, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এড. মোহাম্মদ ইসহক ও আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খাঁন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আশফাকুজ্জামান খাঁন রনি, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইসমাইল হোসেন সোহাগ, কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, পৌর যুবদলের আহবায়ক আরাফাত হোসেন কোমল, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাহিন আলম বিপ্লব, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক শামিম রেজা ও কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আল রেজা সাগর। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোনাজ্জেল হোসেন লিটন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আশরাফুল আলম রানা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রেজা দুলু, হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, আলী হোসেন মদন, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক যথাক্রমে, খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, সরদার শহিদুল ইসলাম, মুরাদুন্নবী মুরাদ, ইমরান হাসান সামাদ নিপুন, পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক রুহুল আমীন সুজন, হাবিবুর রহমান মন্টু, রাশেদুল মমিন সুজন, মহিলাদল নেত্রী নাহিদ আক্তার, হিরামনি আক্তার, রওফুনেছাসহ উপজেলার ১১ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও মহিলাদলের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
আলোচনাসভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন, মোবারকপুর পীরতলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মুশফিকুর রহমান। শেষে দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।