ছাত্রদল সভাপতি-সম্পাদকসহ ৩৫ নেতাকর্মীর আগাম জামিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৮ পিএম, ১ জুন,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১১:০০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্জন হলের সামনে দোয়েল চত্বরে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার শাহবাগ ও পল্টন থানায় করা পৃথক দুই মামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহসহ ৩৫ জনকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে তাদেরকে ওই সময়ের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো: সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ছাত্রদল নেতারা হাজির হয়ে আগাম জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
শুনানিতে আদালতে ছাত্রদল নেতাদের জামিন দেয়ার আর্জি জানান সিনিয়র আইনজীবী এ জে মুহাম্মদ আলী। তাকে সহায়তা করেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
শুনানিতে এ জে মুহাম্মদ আলী বলেন, এ মামলায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। যে ধারায় এ মামলা করা হয়েছে তা প্রযোজ্য নয়। তিনি আদালতে বিভিন্ন পত্রিকা উপস্থাপন করে বলেন, ছাত্রদলের উপরই সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় ও দোয়েল চত্বরে হামলা করা হয়েছে এবং তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত ছাত্রদল সভাপতি-সম্পাদকসহ ৩৫ জনকে ছয় সপ্তহের আগাম জামিন দেন।
শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মো: ফজলুর রহমান, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, গাজী মো: কামরুল ইসলাম সজল, রাগীব রউফ চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, মনিরুজ্জামান আসাদ, মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাড. সুজা, কে আর খান পাঠান, মু: কাইয়ুম প্রমুখ।
এ সময় বিএনপির শতাধিক আইনজীবী ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
গত ২৬ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। ২৬ মে দিবাগত রাতে ঢাবির শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ শাহবাগ থানায় ছাত্রদলের ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত আরো ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন- ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো: রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, সদস্য সচিব মো: আমানুল্লাহ আমান প্রমুখ।
এতে ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. আমানুল্লাহ আমানসহ অজ্ঞাত নাম পরিচয়ের ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে বুধবার তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন।