তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় আ’লীগ সরকার ভীত : সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ৩০ মে,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৪২ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও মহান স্বাধীনতা ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ‘দিশেহারা জাতির পথপ্রদর্শক ও আলোর দিশারী’ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান দেশের ক্রান্তিলগ্নে দেশের হাল ধরে, দেশের কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন বলে আজও তিনি বাঙালি জাতির হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।’
আজ সোমবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও কাঙালিভোজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই কথা বলেন তিনি।
এদিন গিয়াসউদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জ, জালকুড়ি, পশ্চিম তল্লা, দেওভোগ, কাশিপুর, বক্তাবলীসহ বেশ কয়েকটি স্পটে আয়োজিত কাঙালি ভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন।
‘তারেক রহমানকে বর্তমানে দেশের সব চাইতে জনপ্রিয় নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দেশছাড়া করে রাখা হয়েছে। বাংলার মানুষ অপেক্ষা করছে কোনদিন প্রিয় নেতা দেশে আসবেন, দেশের মানুষের দায়িত্ব নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।
মানুষ তার বক্তব্য শোনার জন্য অপেক্ষা করে। এত জনপ্রিয় নেতা হওয়ায় সরকারি দলের সমস্ত নেতা নেত্রীর মুখের জ্বালা, দেহের জ্বাল, হৃদয়ের জ্বালা শুধু তারেক রহমান। আমাদের নেতা কিন্তু দেশে নাই। তারপরও তাকে এত ভয় পায় এই সরকার। তার বিরুদ্ধে শুধু কথা বলে। এই ভয়ের একমাত্র কারণ তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা।’
‘বর্তমান সরকার দুঃশাসনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে নসাৎ করে দিয়েছে’ মন্তব্য করে গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘এই সরকার আমলে যেমন দুর্নীতি হচ্ছে তেমনি গণতন্ত্রকে তারা হত্যা করেছে। হত্যা গুমের মাধ্যমে বিরোধী দলকে ধ্বংস করার জন্য যতকিছু করার করে যাচ্ছে। তাদের দুঃশাসন, দুর্নীতিতে মানুষ আজ দিশেহারা।
এ দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চাচ্ছে। শুধু সাধারণ মানুষ কিংবা বিরোধী দলই নয়, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা ভালো মানুষ আছেন তারাও আজ লজ্জাবোধ করেন সরকারের কার্যকলাপের কারণে। মানুষ এখন তাদেরকে কর্মকান্ডে ছিঃ ছিঃ করে।’
‘এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে যতটুকু শান্তি অবশিষ্ট আছে সেটাও ধ্বংস হয়ে যাবে। এ কারণেই মানুষ এই সরকারের পতন চায়। একটা পরিবর্তনের জন্য তীব্র অপেক্ষা নিয়ে বসে আছে। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে এবং অমানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে’ উল্লেখ করে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, এই দেশের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার মুখ দিয়ে কোনোদিন একটি খারাপ বাক্য উচ্চারিত হয়নি। তার বক্তব্য শোনার জন্য মানুষ অধির আগ্রহে থাকেন।
তিনি যতবারই পাঁচটি আসনে নির্বাচন করেছেন ততবারই জয়ী হয়েছেন। যা ইতিহাস বিরল। এ কারণে সরকারও ইর্ষান্বিত। তার মত জনপ্রিয় নেত্রী যদি বাইরে থাকে তাহলে সরকার এভাবে দুর্নীতি, গণতন্ত্র হত্যার মাধ্যমে অপশাসন কায়েম করতে পারতো না। এই ভয় থেকেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফরমায়েশী রায়ে কারাবন্দি করা হয়েছে।’
আমরাও নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলীয় কাজকর্ম করে যাচ্ছি। আমরা জনগণের পাশে আছি। আমরা চাই যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব এই সরকারের পতন ঘটিয়ে গণমানুষের পক্ষে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা।’
নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে মতানৈক্য, ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান গিয়াসউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি থাকতে পারে। মতানৈক্য হতে পারে।কিন্তু আমাদের একটাই পরিচয় আমরা শহীদ জিয়ার হাতে গড়া গণমানুষের দল বিএনপির কর্মী। আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কর্মী। ফলে আমাদের মূল পরিচয় আমরা সকলেই ভাই ভাই।’
কাঙালিভোজের এসব অনুষ্ঠানে গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খোন্দকার মনিরুল ইসলাস, ঢাকসুর সাবেক নেতা ও কেন্দ্রীয় মৎসজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদী, ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য সচিব, জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হালিম জুয়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, কুতুববপুর ইউপি বিএনপির সভাপতি লূৎফর রহমান খোকা, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন রতন, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুমন আকবর, সহসভাপতি লোকমান হোসেন প্রমুখ।