শহীদ জিয়া বিপ্লব উদ্যান থেকে আই রিভোল্ট বলে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ৩০ মে,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৭ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীর দিনটি জাতীয় জীবনে খুবই শোকাবহ দিন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে দেশী বিদেশী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে বিপদগামী সেনা সদস্যের হাতে তিনি নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন। জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ছিলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সততার প্রতীক। জাতি যখন নেতৃত্বশূন্য দিশেহারা তখনই জিয়াউর রহমান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন। শহীদ জিয়াই চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যান থেকে আই রিভোল্ট বলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। অষ্টম ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের নিয়ে প্রতিরোধের মশাল জালিয়েছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। আজকে মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের যাদের বয়স নয় বছর ছিল তারা রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধা সেজে শহীদ জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে অস্বীকার করছে।
আজ সোমবার দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানের বিপ্লব বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর "মানুষ তিনবেলা মাংস খাচ্ছে" বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, যেখানে দ্রব্যমূল্যের চরম উর্দ্ধগতিতে সাধারণ মানুষ দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সেখানে সরকারের মন্ত্রীরা এসব কথা বলে জাতির সাথে উপহাস করছে। মানুষের সাথে হাসি তামাশা করছে। তারা মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মঙ্গার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাজেট বাড়িয়ে বাড়িয়ে সেই টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছে। রাষ্ট্রের উঁচু থেকে নিচু পর্যন্ত সবাই দুর্নীতির টাকা পাচার করেছে। এই দুর্নীতির টাকা দিয়ে তারা চট্টগ্রামে সম্মেলনের নামে কোটি কোটি টাকার ব্যানার লাগিয়ে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। তার সততা নিয়ে তার চরম শত্রুও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে হানাদার বাহিনীর আক্রমণের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে আজো দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, মহানগর বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী, আবু মুছা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন, আবুল খায়ের মেম্বার, আলী আজম চৌধুরী, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, মহানগর জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, চাঁন্দগাও ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি ইলিয়াছ চৌধুরী, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি মোজাম্মেল হক হাসান, চকবাজার থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুজ্জামান জুনু প্রমুখ।