পুলিশের গুলিতে বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ আহত- ২২
বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর ও অফিসে দফায় দফায় হামলা, গাবতলী রনক্ষেত্র
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৯ মে,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১৮ এএম, ৬ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৫
একদল আওয়ামী সন্ত্রাসী বগুড়ার গাবতলীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর ও উপজেলা বিএনপি অফিসে দফায় দফায় হামলা ভাংচুর আগুন জালিয়ে তছনছ করে দিয়েছে। প্রতিরোধ করতে গিয়ে আওয়ালীগ ও পুলিশের দ্বি-মুখি আক্রমনে পুরো গাবতলী রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। এ ঘটনায় গুলিতে বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ ২২ নেতাকমী আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি মহিলাদল নেত্রী সুরাইয়া জেরিন রনির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মি সমর্থকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এর প্রতিবাদে আজ রবিবার বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মিরা সুরাইয়া জেরিন রনির একটি কুশপুত্তলিকা দাহ করে। জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সুলতান মাহমুদ খান গাবতলি থানায় একটি জিডি করে। অপরদিকে গাবতলি উপজেলা আওয়ামী লীগও সেখানে মহিলা দল নেত্রী রনিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
রোববার বেলা ১১ টায় গাবতলি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মি জড়ো হয়ে মিছিল বের করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন দেওয়া হয় বিএনপি অফিসে। এসময় পুলিশ নিরব থাকে। এরপর মিছিল থেকে একদল আওয়ামী সন্ত্রাসী লাঠিসোটা ধারী গাবতলী পুর্ব পাড়ায় অবস্থিত সুরাইয়া জেরিন রনির বাড়িতে হামলা চালায়। তবে এই ঘটনায় রনির পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা পাল্টা আক্রমন করে হামলাকারীদের হটিয়ে দেয়।
হামলার খবর পেয়ে বিএনপি কর্মিরাও সংঘবদ্ধ হয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মিদের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। শহর পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে বিএনপির ১৭ জন এবং আওয়ামী লীগের ৫ জন সহ মোট ২২ জন আহত হয়। অবস্থা বেগদিক দেখে বেলা ১ টার দিকে পুলিশ রাস্তায় নেমে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার আশংকায় মহিলা দল নেত্রী রনি এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোর্শেদ মিল্টনের বাসভবন সহ মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গাবতলি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন জানান, সংঘর্ষ চলাকালে আওয়ামী লীগের হামলা পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়েছে, যুবদল নেতা হারুনুর রশীদ, রাগিবুল হাসান হিরু, ছাত্রদল নেতা এম আর হাসান পলাশ, গোলাম মুক্তাদির, আল আমিন, আশিকুর রহমান আশিক সহ মোট ১৭ জন আহত হয়ে মেডিকেল কলেজ সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানান হয়, আবু হানজালা সহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা সবাই বিএনপি কর্মিদের ছোঁড়া পাথরে আহত হয়েছে বলে দাবী করা হয়।
গাবতলি সদরের ওসি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।