শ্রীপুরে বিএনপি’র কার্যালয় ভাংচুর, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২১ পিএম, ২৭ মে,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৫৩ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় হামলা ও ভাংচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এসময় তারা দলের চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ছবিও ভাঙচুর করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মাওনা বাজারে অবস্থিত মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদে মাওনা ইউনিয়ন ও শ্রীপুর পৌর বিএনপির উদ্যোগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাওনা চৌরাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন নেতাকর্মীরা। এঘটনায় গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির মোড়লকে দায়ী করলেও ছাত্রলীগের কেউই এ হামলার সাথে জড়িত নয় বলে জানান নাছির মোড়ল।
মাওনা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাওনা ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে বসে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। এসময় গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির মোড়ল নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে আমাদের অফিস থেকে চলে যেতে বলে। পরে আমরা চলে যাওয়ার পরপরই তারা মাওনা ইউনিয়ন বিএনপি’র অফিস ভাংচুর করে।
শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারী বলেন, বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের খবর পেয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাত ৯টার দিকে সেখানে যাই। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ের প্রায় ৪০/৫০টি চেয়ার ভাঙচুর করে গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। এর সাথে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করেন। প্রতিবাদে মাওনা চৌরাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।
এসব বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির মোড়ল বলেন, বিএনপি’র নেতারা মিথ্যাচার করছেন। ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর করেননি। বিএনপি নেতারা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীই বিএনপি’র অফিস ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত নয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা আমার জানা নেই। এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ এ ধরনের লিখিত অভিযোগ করেননি।