ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের গুলিবর্ষণ ও সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ২৬ মে,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০৫ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ক্যাম্পাস অভিমুখী শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগ এর সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ এবং সশস্ত্র হামলা চালায়। গুলির শব্দে ছাত্রদলের কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে আশ্রয় নিলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক, স্ট্যাম্প, রড এবং অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপরে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশাপাশি আজ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আক্রমণে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বীর সৈনিক জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। আজকের হামলায় ছাত্রদলের ৪৭ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ এই পৈশাচিক এবং ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো ছাত্রলীগের ক্যাডারদের এই নারকীয় হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল দুই দিনব্যাপী নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করে :
১. আগামী ২৮-০৫-২০২২ তারিখ (শনিবার) দেশের সকল জেলা ও মহানগর ইউনিটে বিক্ষোভ মিছিল পালন করা।
২.আগামী ২৯-০৫-২০২২ ( রবিবার) দেশের সকল উপজেলা, থানা, পৌরসভা এবং কলেজে বিক্ষোভ মিছিল পালন করা।
আজ বৃহস্পরিবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় সকল স্তরের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে উক্ত কর্মসূচি সফল করার আহবান জানান। নেতৃদ্বয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টরকে অতিদ্রুত 'পরিবেশ পরিষদ' এর সভা আহবান করার অনুরোধ জানান। সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের লাগাম টেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর সহাবস্থান এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের দায়ভার উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে বলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনে করে, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসের ব্যাপারে নির্লিপ্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদেরকে ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার হিসেবে প্রমাণ করছে এবং তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসাবে বিবেচিত হবে।