বাংলাদেশে কোন গণতন্ত্র নাই, বিচার বিভাগকে দখল করে মানুষকে জিম্মি করেছে সরকার : সেলিমা রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ২৬ মে,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৩২ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকীর প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩ টা থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী ভূবনমোহন পার্কে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি’র আয়োজনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি সেলিমা রহমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন কোন গণতন্ত্র নাই। সেইসাথে বিচার বিভাগকে দখল করে দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। বিচার বহির্ভূত হত্যা ও দিনের ভোট রাতে করতে সহযোগিতা করায় এবং বর্তমান সরকারের এজেন্ট হয়ে কাজ করায় আমেরিকা সরকার আইনশৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কয়েক কর্মকর্তার উপরে আমেরিকা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়াে আওয়ালীগের কয়েকজন নেতাকেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যুব সমাজ বেককার হয়ে পড়েছে। দেশে খাদ্যের হাহাকার চলছে। পদ্মা সেতু করার নামে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে এই সরকার।
তিনি আরও বলেন, দেশে এখন কোন প্রকার আইনের শাসন নেই। গত কয়েকদিন পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে শুধু ছাত্র নয় ছাত্রীদেরও চরমভাবে নির্র্যাতন করেছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাঁধা প্রদানসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে।
তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলে, অথচ তারা সেই জনগণের উপরে অমানবিকভাবে নির্যাতন করছে। এভাবে আর চলতে দেয়া হবেনা। জাতীয়তাবাদী দল এখন প্রতিরোধ করতে শুরু করেছে। যেখানেই বাঁধা সেখানেই প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান অতিথি বলেন, এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী একনরজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়ে শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি তিনবারের সফল প্রদানমন্ত্রীকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করতে চেয়েছেন। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেইসাথে এই বক্তব্যের জন্য আঠারো কোটি মানুষের নিকট ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি। আগামীতে এই ধরনের বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন প্রধান অতিথি।
তিনি বলেন, দেশে এখন প্রকাশ্যে হাহাকার চলছে। কোন কিছুর উপরে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নাই। আর কিছুদিন এভাবে চলছে লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে দেশের রিজার্ভ ফান্ড কমে গেছে। কিন্তু রিজার্ভ ফান্ড নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। দেশে এখন লক্ষ লক্ষ যুবক বেকার হয়ে পড়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সকল বেকার যুব সমাজকে কর্মের ব্যবস্থা করা হবে। আর আগামী সংসদ নির্বাচন কোন ভাবেই এই সরকারের অধিনে হবেনা। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন করার জন্য এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সেজন্য আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। এই আন্দোলনে আর ঘরে বসে না থেকে একতাবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহবান জানান প্রধান অতিথি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নজরুল হুদা।
রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার ও মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন এর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পুঠিয়া উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু বকর সিদ্দিক, জেলা বিএনপির সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন, আলী হোসেন, শাহাদত হোসেন, জাহান পান্না, রায়হানুল আলম রায়হান, আমিনুল হক মিন্টু, তোফায়েল হোসেন রাজু, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, তাজমুল তান টুটুল ও জাকিরুল ইসলাম বিকুল।
আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক রানা, আসলাম সরকার ও শফিকুল ইসলাম শাফিক, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান স্বজন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো, যুগ্ম আহবায়ক রবিউল ইসলাম কুসুম, স্বেচ্চাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, স্বেচ্চাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও রাজশাহী জেলা স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি নুশরাত এলাহী রিজভী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খালেদ বিন তারেক।
এছাড়াও কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আল-আমিন সরকার টিটো, জেলা তাঁতী দলের আহবায়ক কুতুব উদ্দিন বাদশা ও সদস্য সচিব হাসানুজ্জামান, জেলা মৎস্য জীবী দলের আহবায়ক নাজমুল হক বাবলু. মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রওশান আরা পপি ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রোমেনা হোসেন, মহানগর জাসাস এর সদস্য সচিব সেলিম রেজা ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সৌরভ, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার আলম বিপুল, সাধারণ সম্পাদক আরফিন কনক ও রাবি ছাত্রদলের আহবায়ক সুলতান আহম্মেদ রাহীসহ মহানগর, জেলার বিভিন্ন থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সমর্থকগণ উপস্থিত ছিলেন।