রাতের ভোট যে হয়েছিল তা তারাও স্বীকার করেছেন : নোমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ২৬ মে,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৫৩ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার একটা কথা বলেছেন। এবারের ভোট রাতে হবে না দিনে হবে। অর্থাৎ আগের ভোট যে রাতে হয়েছিল তা তারাও স্বীকার করেছেন। তারা জোর করে দেশ চালাচ্ছে। তাদের দেশ পরিচালনার অধিকার নেই।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জেলা ও মহানগর বিএনপির প্রতিবাদে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। মানুষ দুই বেলা খেতে পায় না। সব সরকারের বাহিনীর মাধ্যমে চলছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতা আজ কারাগারে। তারা বাধ্য হয়েই তাদের কারাগারে দিচ্ছে। দেশ আজ সংকটের মধ্যে আছে। জনগণের ওপর ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনা নির্যাতন চালাচ্ছে। তাই আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
প্রতিবাদ চলবে যতক্ষণ আমরা একটি বৈধ সরকার না পাবো। আজকে আমরা যে কারণে এখানে এসেছি তা আসতে হতোনা যদি এ দেশ নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতো। দেশনেত্রী খালেদা বেগম জিয়া কারাগারে এবং তারেক জিয়া বিদেশে কারণ তারা বাংলাদেশের জনগণকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন এ দেশের জন্য আমাদের রাজনীতি। আসুন আমরা দেশের জন্য কাজ করি। আমাদের রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু জনগণের কল্যানে আসুন আমরা এগিয়ে যাই।
তিনি বলেন, রাজনীতি করলে মামলা হবেই তবে কোন কারন ছাড়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এই হাসিনা সরকার খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মামলা দিয়েছে। তাদের মুক্তি হবে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়। জনগণ আর বলবে না আমার নেত্রীকে মুক্তি দাও। তারা বলবে এক দফা এক দাবী হাসিনা তুই কবে যাবি। আমরা উঠিয়ে দিলেও জনগণ রাজপথে থাকবেই। আমাদের সংগ্রামের ফসল নিয়েই আমরা সামনে এগুতে থাকব। আমরা বিজয়ের কাছাকাছি আছি।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আজকে আমাদের প্রায় ৩৪ লক্ষ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তাদের অনেকেই ঢাকা এসে রিকশা চালাচ্ছেন। আমরা সমস্ত রাজবন্দিদের মুক্তি চাই। আমাদের নেত্রী সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারনে কারাগারে। কারন তারা জনগণকে সংগঠিত করতে সক্ষম। রাজনীতিতে প্রতিযোগীতা থাকবে তবে প্রতিহিংসা নয়।
সমাবেশের শুরু থেকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি তোলেন নেতাকর্মীরা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই তৈমূর আলম খন্দকারের বহিস্কার প্রত্যাহারের কথা বলেছেন। এটা কোন ব্যক্তিগত কারনে করা হয়নি। তিনি হয়ত সে সময় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা হয়ত ভুল ছিল। পার্টির শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সমাবেশে প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে নিয়ে এ সরকারের ভয় কারণ তিনি তো বাংলাদেশের একমাত্র বীর। আর এ বীরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফিরে পাবে গণতন্ত্র।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দিন, সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, রূপগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, সদস্য সচিব বাছির উদ্দিন বাচ্চু, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল্লাহ, জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকন, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, রানা মুজিব, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রহিমা শরীফ মায়া প্রমূখ।