ঘরে বসে থাকলে হবে না, বাংলাদেশ যাবে কোন পথে তার ফয়সালা রাজপথেই নির্ধারণ হবে - টুকু

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এই অবৈধ সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এই সরকার ভোট চোর, ভোট ডাকাতের সরকার। ভোট ডাকাতদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তাই সকলকে ঐকবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। কারণ ঘরে বসে থাকলে হবে না।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর শালবন সিক্স সিজনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি রংপুর মহানগর ও জেলা শাখার যৌথ আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে ভাচুয়ালী প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এর আগে বদরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রার্থী ও কারমাইকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে আওয়ামী সরকার একটি তামাশার নির্বাচনে ভোট চুরি ক্ষমতায় গিয়েছিল। আর বর্তমানে এসে তারা ভোট ডাকাতি করছে। তাও আবার রাতের অন্ধকারে। বর্তমানে বিএনপি ও বিশ দলীয় জোটের প্রায় ৫০ লক্ষ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের হয়েছে তারা প্রতিদিন কোর্টের বারান্দায় যাচ্ছে। অনেক নেতাকর্মী গুম হয়েছে। অনেকেই নির্যাতনে মৃত্যু বরণ করেছে। দেশের মানুষের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্র মূলক একটি মিথ্যা মামলায় বন্দি রাখা হয়েছে। তিনি দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তার যদি এই অবস্থা হয় তাহলে দেশের জনগণ কেমন রয়েছে। তাই সময় এসেছে এখন ঘুরে দাড়াবার। এজন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ ঘরে বসে থাকলে ফয়সালা হবে না। ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় জানাতে হবে।

অনুষ্ঠানে নেতারা বলেন, বাংলাদেদেশের মানুষকে বাঁচতে হলে আন্দোলন করতে হবে। কারণ এই লুটেরা দুর্নীতিবাজ, মানুষহত্যা কারী ও গুমকারী আওয়ামী সরকারের বিদায় করতে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। তাই সকল সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে। তারা আরও বলেন, শহী রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পাসপোর্ট না দিলে আপনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসতে পারতেন না। আজ দেশে মুক্ত আকাশে বেড়াতে পারতেন না। রাজনীতি করতে পারবে না। তাই শেখ হাসিনা আপনাকে আপনাকে বলছি, মনটা বড় করেন। উদার হোন। তা না হলে দেশের জনগণ আপনাকে বিদায় জানাবে অতি শীঘ্রই।

রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক এমপি সাহিদার রহমান জোসনা, রংপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. মাহফুজ উন নবী ডনের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক লিটন পারভেজ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান হিজবুল, ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা ইনামুল হক মাজেদী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড শফি কামাল, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুর হাসান সুমন, মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক শাহ নেওয়াজ লাবু, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এ্যাড.রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, সাধারণ সম্পাদক আরজানা সালেক প্রমুখ।

এসময় জাগপার জেলা সভাপতি খন্দকার আবেদুর রহমানসহ বিশ দলীয় জোট ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ মহানগর ও জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষক দল, মহিলা দল, ওলামা দল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী কয়েক হাজার সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।