শেরপুরে চুরি করে মাছ মারতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সা. সম্পাদক গণধোলাইয়ের শিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ৩০ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
শেরপুরের শিবপুর গ্রামে বিরোধপূর্ণ একটি পুকুরে গতকাল শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ভোরে চুরি করে মাছ ধরতে গিয়ে গণধোলাই শিকার হয়েছে বগুড়া জেলা সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া তারেক বিদ্যুৎ। এসময় এলাকাবাসী তাকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
ঘটনা বিবরণে জানা যায়, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মলা প্রামানিকের ছেলে পুকুরের মালিক ইলাম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে করে আসছিল। একই এলাকার মৃত বিরাজের ছেলে দুলাল সেই পুকুরের মাছ চুরি করার জন্য বগুড়া জেলা সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া তারেক বিদ্যুৎ সহ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসীকে শহর থেকে ভাড়া করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ২৯ এপ্রিল শুক্রবার ভোর রাতে ওই পুকুরে চুরি করে মাছ মারতে গেলে পুকুরের মালিক ইলামসহ তার লোকজন বাধা প্রদান করে। এ সময় জাকারিয়া তারেক বিদ্যুত ও সঙ্গে আনা ভাড়াটিয়া বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তাদের মারধর করে। এতে ইলামের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম, রাজু আহম্মেদ, স্ত্রী ও মেয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে গ্রামবাসী সবাই জোটবদ্ধ হয়ে জাকারিয়া তারেক বিদ্যুতকে গাছের সাথে বেধে রেখে গণধোলাই দিলে বাকিরা সবাই পালিয়ে যায়। সকালে পুলিশে খবর দিলে শেরপুর থানা পুলিশের এএসআই খায়রুল তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ ঘটনায় পুকুরের মালিক ইলাম হোসেনের ছেলে রাজু আহম্মেদ জানান, দুলাল আমাদের পুকুর থেকে মাছ মারার জন্য শহর থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনেছিল। রাতের আধাঁরে মাছ চুরি করার সময় আমরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার বড় ভাই সহ ৪ জন আহত হয়। আমাদের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে সন্ত্রাসী জাকারিয়া তারেক বিদ্যুতকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমে বলেন, মাছ চুরির ঘটনায় গণধোলাইয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জাকারিয়া তারেক বিদ্যুতকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।