গুম খুন মিথ্যায় সরকারের নোবেল পাওয়া দরকার : গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫৬ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ক্ষমতাসীন সরকার ছাত্রদের দিয়ে পড়ালেখা করাতে চায় না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের জন্য। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য নয়। এই সরকার গুম, খুন, মিথ্যা কথায় নোবেল পুরস্কার পাওয়া দরকার।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় চক্রান্তমূলকভাবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, এই সরকার পতনের আন্দোলন চলমান থাকবে। কোনো ঈদের আগে আর পরে নয়। এক যুগের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছে। আন্দোলনের উদ্দেশ্য বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, শেখ হাসিনার বক্তব্য তার বাবার স্বপ্নে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। অথচ লাখো জনতার বুকের রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে। কারো ব্যক্তি-উদ্যোগে হয়নি।
গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্রদের দিয়ে লেখাপড়া করাতে চায় না। তদের খুন-খারাবি, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, ধর্ষণ করায়। বাংলাদেশে কোন মার্কেট আছে যেখানে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি হয় না? ছাত্রলীগ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, চাপাবাজির তাদের কাজ। যুদ্ধের মানে এই নয় যে, শুধু গুলি খাব, আমরা তো একতরফা মার খাচ্ছি, মিথ্যা মামলায় আদালতে হাজির হচ্ছি। সংবিধান কি পুলিশকে জনগণের গায়ে হাত দেয়ার অধিকার দিয়েছে।
পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে না। সে ক্ষমতা থেকে চলে গেলে আপনাদের কি চাকরি করা লাগবে না। বিচারের নামে প্রহসন, বিচারের নামে অবিচার হয় সেই অবিচারেরও বিচার হবে। বর্তমানে ছাত্রদেরকে শেখ হাসিনা এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে, তাদের মান-সম্মান নিয়ে তাদের গার্ডিয়ানরা আতঙ্কে থাকেন।
সভাপতির বক্তব্যে মীর সরফত আলী সপু বলেন, নিউমার্কেটের ঘটনাটা ছাত্রলীগের দ্বারাই সংঘটিত হয়েছে। তারাই হেলমেট বাহিনী গঠন করেছে। ছাত্রলীগের অতীত ইতিহাস হলো সংঘর্ষ এবং অপকর্ম করা। ছাত্রলীগ কী জিনিস, ১৯৭২-৭৫ সাল থেকেই তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। ২০১৬-২০১৭ সালে তারা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হেলমেট পরে হামলা চালিয়েছে। এবারো তারা তাণ্ডব চালিয়েছে। নিরীহ দু’জনকে পিটিয়ে মেরেছে। ছাত্রলীগ এবং হেলমেট বাহিনী যা কিছু করেছে, তা শেখ হাসিনার নির্দেশে করেছে।
ছাত্রদল এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে এবং এই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্যও ছাত্রদল গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি ও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ও সাবেক ভিপি হারুনুর রশিদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সাবেক জিএস জাকির হোসেন, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, যুবদলের নূরুল ইসলাম নয়ন, মৎস্যজীবী দলের ওমর ফারুক পাটোয়ারী প্রমুখ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কামাল আনোয়ার আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আওলাদ হোসেন উজ্জল, ডা. জাহেদুল কবির, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়াসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।