চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে ডা. শাহাদাত হোসেন
ঢাকা নিউমার্কেট এলাকায় সহিংস হামলাকারীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৫৭ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ঢাকা নিউমার্কেট এলাকায় সহিংস হামলাকারীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী। ভিডিও ফুটেজ থেকে অন্তত তিনজনকে চিহ্নিত করা গেছে, যাঁরা ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। কিন্তু প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে সরকার আবারও বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে ঢাকা নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা করেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, টানা দুই দিনে সংঘর্ষ বন্ধ করতে না পারায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে যখন জনগণ দায়ী করছে, সে সময় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির নিরপরাধ নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আড়াল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানত চাঁদাবাজির কারণে এবং নিজেদের প্রভাব বিস্তারে ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের ভয়াবহ সন্ত্রাসীরা এই ঘটনার জন্য দায়ী। নিউমার্কেটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই শাসকগোষ্ঠীর ছত্রচ্ছায়ায় ব্যাপক চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে। পুলিশের সহায়তায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ সেখানে অপরাধ জগৎ গড়ে তুলেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা প্রমাণ করেছে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা নাজুক। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা কারণে মানুষ যখন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপিকে জড়াচ্ছে। আগের মতোই মামলার বেড়াজালে বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্দী করার চক্রান্ত করছে। এই গ্রেপ্তার ও মামলা আবারও প্রমাণ করল আওয়ামী লীগ সরকার ভয় দেখিয়ে, নির্যাতন করে, হত্যা করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল চৌধুরী, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, এম এ হাশেম রাজু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম, শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, একেএম পেয়ারু, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, আলী আজম চৌধুরী, সালাউদ্দীন লাথু, ইউসুফ শিকদার, আলী ইউছুপ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মুফিজ উল্লাহ, মো. আজম উদ্দীন, রাসেল পারভেজ সুজন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, সহ সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহাদ রিপন, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সামিয়াত আমীন জিসান, আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমূখ।