সিদ্ধিরগঞ্জে ধর্ষণ মামলার আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৮ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পরিচয়দানকারী গ্রেপ্তারকৃত মহিউদ্দিন (৪৬) কে আসামি করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার এক কলেজ ছাত্রীর মা আজ সোমবার এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ফজলে রাব্বি (১৯) কে ধর্ষক ও মহিউদ্দিনকে ধর্ষকের সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ফজলে রাব্বি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার ফতেহপুর দড়িকান্দি গ্রামের হাজি আলমের ছেলে। মহিউদ্দিন একই জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাইনাদী নতুন মহল্লার আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে।
এরআগে গতকাল রবিবার বিকেলে নিজ বাসায় দেহব্যবসা করার অভিযোগে পাইনাদী নতুন মহল্লা থেকে মহিউদ্দিন ও তার স্ত্রীসহ অসামাজিক কাজ করতে আসা এক যুবক ফজলে রাব্বি ও কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে ওই ছাত্রীকে আটকের সংবাদ পেয়ে তার স্বজনরা থানায় ছুটে আসে। ছাত্রীর মা জানায়, তার মেয়ে কলেজ ছাত্রী। ফজলে রাব্বি তার মেয়ের সাথে প্রেমের অভিনয় করে তাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ফজলে রাব্বিকে ধর্ষক ও মহিউদ্দিনকে ধর্ষণের সহায়তাকারী হিসেবে নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে মামলা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় টাউট হিসেবে পরিচিত মহিউদ্দিন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে নিজ বাসায় দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। কিছুদিন ধরে সে নিউজ ২১ নামে একটি আইপি টিভির কার্ড গলায় ঝুলিয়ে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
গতকাল রবিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে এক যুবক ও কলেজ ছাত্রী মহিউদ্দিনের বাসায় এসে দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয়। আশপাশের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদেরকে হাতে নাতে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে মহিউদ্দিনের স্ত্রীকে টাকা দিয়ে তারা বাসায় একাজে লিপ্ত হয়।
পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নূর আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মহিউদ্দিন তার স্ত্রী ও ওই যুবক ও ছাত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।