আ’লীগ নেতাকে বিবস্ত্র অবস্থায় জুতাপেটা, ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৯ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বরগুনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকে বিবস্ত্র অবস্থায় জুতাপেটার ঘটনায় নারীসহ ৪ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে রোববার মামলাটি করেন জুতাপেটার শিকার বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জাকির।
আজ সোমবার (১৮ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করছেন তার আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি। আসামিরা হলেন– মো: আতিকুর রহমান সগীর (পাইপ সগীর), লিপি আক্তার রিমা, জাকির ফকির ও মো: জাহিদ।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ চক্রটি বাদীকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করেছে। বাদী শাহ আলম বাবুগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকও।
তিনি অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি বিভিন্ন সময়ে এলাকার লোকজনকে সরকারি-বেসরকারি নানা সহায়তা পেতে সহযোগিতা করে আসছি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোবাইল ফোনে কল করে আসামি লিপি আক্তার রিমা নিজেকে অসহায় দাবি করে আমার কাছে সহায়তা চায়। আমি তাকে আশ্বাস দেই। এরপর মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়।
গত ৭ এপ্রিল বিকেলে রিমা আমাকে ফোন করে সাক্ষাতে কথা বলতে বরগুনা পৌরশহরের ধানসিঁড়ি সড়কের এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় আসতে বলেন। ওইদিনই তারাবি নামাজ শেষ করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে গেলে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি ঘরের দরজা বন্ধ করে আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে রিমা জুতাপেটা করে এসব মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। পরে ওই ব্যক্তিরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদার টাকা না দিলে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে ছেলের মাধ্যমে তাদের ৬০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়ে বাড়ি যাই। ঘটনার একদিন পর রিমা কল করে বাকি টাকা চায়। ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
বাদীর আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি বলেন, মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে জিম্মি করে ভিডিও করে ব্লাকমেইলিং করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে নারীর জুতাপেটার ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় শাহ আলমের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। সেইসাথে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে।