সোনারগাঁওয়ে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, ভাংচুর ও লুটপাট, আহত ২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ১৩ এপ্রিল,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:০২ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের লোকজনদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার বারদী বাজার এলাকায় নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুরো বারদী এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের বারদী বাজার এলাকায় নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি সদস্য যুবলীগ কর্মী নাজমুল হক পক্ষের সাথে আওয়ামীলীগ কর্মী জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিরোধের কেন্দ্র করে বুধবার সকালে বারদী বাজার এলাকায় দু’পক্ষে কথাকাটাটির এক পর্যায়ে নাজমুল পক্ষের তাজুল ইসলাম জাকির পক্ষের হাসানকে মারধর করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে। এক পর্যায়ে জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু ঘটনাস্থলে এসে নাজমুলের লোকজনকে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, টেঁটা, রামদা, লাঠিসোটায় সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের জাকির সরকার, জামাল, মাসুম সরকার, বাসেদ সরকার, মামুন সরকার, সামসুল, হুমায়ুন সরকার, হাসান, তাইজুল ইসলাম, হযরত আলী, বরকতউল্লাহ, সোহেল সরকার, আলী আম্মেদসহ ২০ জন আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অবস্থার আশংকাজনক হওয়ায় জাকির সরকার, জামাল, সামসুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবুর অভিযোগ, নির্বাচনের পর থেকে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক তার দূর সম্পর্কের ভাতিজা নাজমুল হককে নির্বাচন প্রভাবিত করে নির্বাচিত করায়। পরবর্তীতে বারদী বাজারে আমাদের লোকজনকে কোনঠাষা করে রাখে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।
বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস জহিরুল হক জানান, বারদী মারকার্জ মসজিদের পাশে একটি সরকারী পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরে মাছ চাষ করে মসজিদের আয় ও ব্যয় নির্বাহ করা হয়। সম্প্রতি জাাকির সরকারের পক্ষের আমিনুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান, মামুন নামের তিনজন ওই পুকুর লিজ নিতে উঠে পড়ে লাগে। এতে কথাকাটাকাটি হওয়ার এক পর্যায়ে সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের ৫ জন আহত হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেননি।