‘সরকারের দুর্নীতি’ তদন্তে দুদকে বিএনপি'র চিঠি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ১১ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৭ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি তথ্য-উপাত্তসহ অভিযোগ জমা দিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) গেছেন দলটির একটি প্রতিনিধি দল।
আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে প্রতিনিধি দলটি দুদক কার্যালয়ে প্রবেশ করে।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। দলের সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
এর আগে বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তার দল সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও কর্মকর্তার দুর্নীতির খতিয়ান নিয়ে দুদকে যাবেন।
তিনি বলেন, দুদক অত্যন্ত সেনসিটিভ ইস্যুগুলো নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, দুর্নীতি দমন কমিশনে একটু যারা কাজ করতে চান, তাদের স্টাফ অর্থাৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের বিরুদ্ধে দুদকই ব্যবস্থা নেয়। কিছু দিন আগে দেখেছেন যে, একজন কর্মকর্তা শরীফ সাহেবকে বদলি করা হয়েছে এবং পদাবনতি করা হয়েছে একটি বিশেষ দুর্নীতির মামলার তদন্ত করার কারণে।
তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান দুর্নীতির একটা মহোৎসব চলছে। আপনারা এখন সাহস করে অনেক কিছু লিখছেন, যার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি। আমরা দুর্নীতির বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা ও আইনমন্ত্রীর টেলিফোন কনভারসেশন যেটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সেই কনভারসেশনে যে বিষয়গুলো ছিল সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম, এর তদন্ত হয়েছে কিনা তাও জানতে চেয়েছিলাম। ফরিদপুরের অত্যন্ত সেনসিটিভ একটি পরিবার, সেই পরিবারের এক সদস্যের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়গুলো দেখা যাচ্ছে ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। আর কোনো কথাই হচ্ছে না এগুলো নিয়ে। আমরা দলের সর্বোচ্চ ফোরামে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে দুর্নীতির এ বিষয়গুলো নিয়ে আপাতত দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দেব। সেই চিঠিতে তাদের আমরা তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করব। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেকটা ইস্যু যেটা আসছে সেটা আমরা জাতির কাছে তুলে ধরব এবং একই সঙ্গে দুদকে পাঠাব।’