দিরাইয়ে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী, হাওর রক্ষা বাঁধের স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৬ পিএম, ৮ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৫৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা হবে, আমি ত্রাণমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততার সাথে হাওর রক্ষা বাঁধের স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের তলিয়ে যাওয়া ফসল এবং বৈশাখী বাঁধ এলাকা পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জ হাওরাঞ্চলে ৫৩৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে, একেক এলাকার মাটি একেক রকম। এক্সপার্ট প্রকৌশলী দ্বারা এবং আপনাদের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে হাওররক্ষা বাঁধের স্থায়ী সমাধান করা হবে।
পরস্পর কাঁদা ছুড়াছুরি না করে বিপদে ধৈর্য ধারন করতে হবে এবং সবাই মিলে সমস্যা সমাধানে পরিকল্পাপনা গ্রহন করতে হবে মন্ত্রী বলে, পানিসম্পদ মন্ত্রনালয় একটি মানবতার মন্ত্রনালয়, নদী খনন, নদী ভাঙ্গণ রোধে মানুষের জন্য, হাওরাঞ্চল ও চরঞ্চাললের মানুষের জন্য কাজ করে এ মন্ত্রনালয়। বাঁধ নির্মানে পি আইসির
অনিয়মের বিষয়ে মন্ত্রনালয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত কমিটি করা হবে, তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। ফসল রক্ষা বাধ নিয়ে আগামী বছর নতুন ভাবে ভাবা হবে। চাপতির হাওর রক্ষায় চাতল সুইচ গেইট থেকে কলিয়াকাপন পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার কম্পার্টমেন্টাল বাঁধ প্রকল্পভুক্ত করা হবে। অকাল বন্যার হাত থেকে বাঁচতে নদী খননের বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে সুরমা নদী থেকে শুরু করে সকল নদী ড্রেজিং করে স্বাভাবিক প্রবাহ চালু করা। আমরা অচিরেই পরিকল্পনা গ্রহণ করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয় বোর্ডের মহাপরিচালক মো: ফজলুর রশিদ, পাউবোর উত্তর-পূর্বাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এসম শহীদুল ইসলাম, সিলেট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুদ্দোহা, দিরাইর ইউএনও মাহমুদুর রহমান মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবীর ইমন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিরাই সার্কেল আবু সুফিয়ান, ওসি সাইফুল আলম প্রমুখ।
হাওর পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দিরাই-শাল্লার সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তার সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
নদী খননের জরুর গুরুত্বারোপের দাবি জানিয়ে ড. জয়া সেনগুপ্ত বলেন, সুরমা নদীর মূখ থেকে উপজেলার কালনী নদী ও দারাইন নদী হয়ে ধনু নদীর মূখ পর্যন্ত ডেজিং করা হলে দিরাই-শাল্লার হাওর রক্ষার সুফল পাওয়া যাবে। এ সময় গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। এর আগে মন্ত্রী জাতীয় নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
প্রসঙ্গত, গতবুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চাপতি হাওর উপ প্রকল্পের তাড়ল বৈশাখী বাঁধটি ভেঙ্গে তলিয়ে যায় বৃহত্তর চাপতির হাওর ও বৈশাখী হাওরের সাড়ে চার হাজার হেক্টর বোরো ফসল।