রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি ঘিরে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৩ পিএম, ৬ এপ্রিল,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৫৭ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ট্যান্ড চাঁদাবাজি ও ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রধান কার্যালয়ে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আল-আমীন হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ভূলতা ইউনিয়নের ভুলতা এলাকার রেদওয়ান টাওয়ারে ছাত্রলীগের প্রধান কার্যালয়ে এ হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ যুবলীগ নেতা আল-আমিন ভূলতার এলাকার মহাসড়কের পাশে স্ট্যান্ড ও ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদার নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। ফুটপাত থেকে মাসে প্রায় এককোটি টাকা চাঁদা আদায় হয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আলম সিকদার তার লোকজন দিয়ে ফুটপাতের দোকানের চাঁদাবাজিতে বাধাঁ দেয়। এসময় দু’পক্ষের মাঝেই তর্কবিতর্ক ও বাকবিতন্ডা হয়। পরে রাতে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আল-আমীনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুলতার রেদওয়ান টাওয়ারে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রধান কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। কার্যালয় ভাংচুরের খবর পেয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিকদারের লোকজন ও যুবলীগ নেতা আল-আমিনের লোকজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মহড়া দেয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্ক দোকানপাট বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আলম সিকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে হলে তিনি বলেন, আমি একটি মিটিংয়ে আপনার সঙ্গে পরে কথা বলছি। এই বলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। যুবলীগ নেতা আল-আমিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইনস্পেক্টর) মাহবুবুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের অফিস ভাংচুরের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।