ইতিহাস অথবা স্বীকৃতি মুছে ফেলা যাবে না - তাসমিয়া প্রধান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৭ পিএম, ২৯ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪০ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
মহান মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা নিয়ে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মন্তব্য অমার্জনীয় উল্লেখ করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া মহান মুক্তিযুদ্ধের ‘বীরাঙ্গনা’। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। দেশ ও জনগণ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে চিরঋণী। ইতিহাস বা কারো স্বীকৃতি নিয়ে এমন আচরণ থেকে সকলের বিরত থাকা উচিত। মনে রাখবেন কারো উসকানিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বা স্বীকৃতি মুছে ফেলা যাবে না।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় আসাদ গেট জিইউপি মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা আয়োজিত ‘অগ্নিঝরা মার্চ ও স্বাধীনতার ৫১ বছরে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাসে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তার এমন মন্তব্য মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করেছে। আমরা আশা করি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে নিজেদের সংযত রেখে কথা বলবেন। মনে রাখবেন আপনারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা। পদ কিংবা আসন কারো জন্য চিরদিনের নয়। সুতরাং কোনো দল বা গোষ্ঠীর লাঠিয়াল বাহিনী হয়ে বুলি ফাটানো বন্ধ করুন।
তিনি আরো বলেন, আজ দেশে রাজনীতির প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতা চলছে। আমলাতন্ত্র, স্বজনপ্রীতি, দলীয় কোটা, টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য আওয়ামী লীগের উৎসবে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষ আজ বড় অসহায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের জীবনের গতিকে নিভিয়ে দিচ্ছে। বড় কষ্ট হয় আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা উপহাস করে বলেন দেশে গরীব নাই। দেশবাসী জানতে চায়- ঢাকায় খাবারের অভাবে ‘মা’ তার শিশু সন্তানকে বিক্রি করলেন কেন? বরিশালে অসহায় বাবা পেটের ক্ষুধায় আত্মহত্যা করলেন কেন? ঢাকায় সন্তানের স্কুলের বেতন না দিতে পারা বাবা মরতে গেলেন কেন? তবে এটাই সত্য আওয়ামী লীগ আজ জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু মোজাফফর মোঃ আনাছ, আসাদুর রহমান খান, মোঃ নিজামুদ্দিন অমিত, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মোঃ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর জাগপার সাধারণ সম্পাদক শেখ এনায়েত আহমেদ হালিম, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সিরাজুল ইসলাম, জাগপা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, সহ-সভাপতি আল আমিন প্রমুখ।