আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যাদের তারা রাজনীতি ও দুর্নীতিতে ব্যস্ত : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩০ পিএম, ২৯ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১১:০৩ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
আইজিপি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের অপসারণ দাবি ও শিষ্টাচার বহির্ভূত ও রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানের অভিযোগ এনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যাদের তারা এখন রাজনীতি ও দুর্নীতিতে ব্যস্ত। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। কয়দিন আগে পুলিশের আইজি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন আর ডিএমপি কমিশনার বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা শিষ্টাচার বহির্ভূত।
আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সিলেট নগরের রেজিস্ট্রি মাঠে সিলেট জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে অপসারণ করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার দেশে মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতিতে নেমেছে। দুর্নীতির টাকা কানাডায় পাচার করা হচ্ছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৩০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেশের বিচার বিভাগ পরাধীন। আইন মন্ত্রণালয় আর ডিসি-এসপির নির্দেশে চলে বিচার বিভাগ।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, যেখানে আমাদের স্বাধীনতা থাকবে, নির্ভয়ে কথা বলতে পারবো। কিন্তু স্বাধীনতার পরই আওয়ামী লীগ জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কারণে ১৯৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ এসেছিলো। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। দেশের অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তি এনে দিয়েছিলেন। এই সরকার এসে আবার সবকিছু নষ্ট করে দিচ্ছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। বাহাত্তরের সংবিধানকে আওয়ামী লীগই ছিন্নভিন্ন করে, একদলীয় বাকশাল সৃষ্টি করে। আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রয়োজনে ৭২র সংবিধান সংযোজন-বিয়োজন করেছে।
এর আগে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে বিএনপির সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. মো. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদসহ ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বগুড়া পৌরসভার মেয়র ও নির্বাহী সদস্য মো. রেজাউল করিম বাদশা, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের চৌধুরী শামিম, হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী।