হরতাল পালনে বাম জোটের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে উষ্ণ অভিনন্দন - সাইফুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৭ পিএম, ২৮ মার্চ,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫৮ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
দ্রব্যমূল্যের, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে পুলিশি উপর্যুপরি হামলা, আক্রমণ, গ্রেফতার ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাম জোটের সারাদেশে আধাবেলা হরতাল।বাম গণতান্ত্রিক জোটের আহবানে সারাদেশে গণদাবির হরতাল নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সফল করায় দেশবাসীকে জোটের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
আজ সোমবার হরতাল শেষে এক সমাবেশে তিনি এ অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আধা বেলা হরতাল পালন করে বাম জোট। পুরানা পল্টন মোড়ে হরতালের শেষ দিকে জোটের সমন্বয়কের বক্তব্যের পূর্বমুহুর্তে কোনরুপ উসকানি ছাড়াই পুলিশ বাম নেতা কর্মীদের উপর একটানা জলকামান নিক্ষেপ করে, টিয়ায়গ্যাস নিক্ষেপ করে, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে, লাঠিচার্জ করে। এই সময় জোটের কেন্দ্রীয় নেতা গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূঁইয়াসহ ২০ জনের বেশি নেতা কর্মী আহত হয়। কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, হরতাল চলাকালীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় দেশব্যাপী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে হরতালের শেষ দিকে জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাসদ মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বাচ্চু ভূঁইয়া, ওয়ার্কার্স পার্টি - মার্কসবাদীর সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আবদুল আলী, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ কাফি রতন সহ প্রমূখ।
সমাবেশে জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, এই হরতাল বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারী ব্যর্থতার বিরুদ্ধে, মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, বাজার নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে।
তারা বলেন, সরকারের দমন করে শাসনের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ জেগে উঠছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, গণসংগ্রামের ধারায় এই সরকারকে বিদায় দেয়া ছাড়া দেশ ও দেশের জনগণকে রক্ষা করা যাবেনা।
এদিকে, ভোর ৬ টা থেকে জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহসাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদ এর সহ সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান,বাসদ-মার্কসবাদীর মানুস নন্দি, ইউসিএল এর মোশাররফ হোসেন নান্নু, শহীদুল ইসলাম সবুজ, খালেকুজ্জামান লিপন সহ জোটের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ রাজপথে পিকেটিং ও অবস্থানে অংশগ্রহণ করেন।
হরতালে আহত নেতা কর্মী নামের আংশিক তালিকাও প্রকাশ করেন তারা। আহতরা হলেন, সিপিবির হযরত আলী, মিয়া মো জুয়েল, ছাত্রনেতা দীপক শীল, সুমাইয়া সেতু, সালমান রাহাত, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শহীদুল আলম নান্নু,সাইফুল ইসলাম, রাশিদা বেগম, জোনায়েত হোসেন। গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূঁইয়া, নিজামুদ্দিন।
সভায় দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের বাফার স্টক, উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তোলা, পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের রেশনিং চালু ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভাঙার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানানো হয়।