শেখ মুজিব চেয়েছিলেন আপোস করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে - নোমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৪ পিএম, ২৭ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৩৬ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন ৬ দফার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানকে অধিকতর স্বায়ত্ত্বশাসন ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করে পাকিস্তানীদের সঙ্গে থাকতে। দেশ স্বাধীন করতে হবে বা স্বাধীন বাংলাদেশ হবে এ উপলব্ধি শেখ মুজিবের ছিলনা। যে কারণে ২৫ মার্চ রাতে তাজউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ চেষ্টা করেও শেখ মুজিবের মুখ দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া বা স্বাধীনতার ঘোষনা পত্রে স্বাক্ষর নিতে পারেন নি। পশ্চিম পাকিস্তানীরা এদেশের নাগনিকদের কখনও প্রথম শেণির নাগনিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। তাই গোটা পূর্ব পাকিস্তানে মাওলানা ভাসানীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ কালো রাতের পর সারা দেশে পাক বাহিনীর নির্মমতা চলতে থাকে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতায় সাধারণ মানুষ দিশাহারা হচ্ছিল। ঠিক তখনই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে জীবনবাজী রেখে বিদ্রোহ করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্বিতীয় দফায় স্বাধীনতার ঘোষণায় শেখ মুজিবের নাম আনেন। যা ইতিহাসের পরবর্তী অংশ। এখানে শেখ মুজিব বা শহীদ জিয়ার মর্যাদাহানি ঘটেনি।
আজ রবিবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজকের সরকার মুক্তিযদ্ধের ইতিহাস শুধু বিকৃত করছে না। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও ধবংস করেছে। যে বৈষম্য আর বঞ্চনার দোহাই দিয়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল সেটি আজও বিরাজমান। দেশের মানুষের ভোটাধিকার নেই, আইনের শাসন নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, মানুষ আজ দুই বেলা খেতে পারেনা, এটি কিসের স্বাধীনতা তা তিনি জানতে চান। তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার পতনের আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহবান জানান এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
খুলনা মহানগর বিএনপর আহবায়ক এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্তু কুমার কু-ু ও কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম। বক্তৃতা করেন সাবেক এমপি বিএনপি নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট স, ম বাবর আলী, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শাহারুজ্জামান মোর্তুজা, খান রবিউল ইসলাম রবি, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আ ফ ম মহসীন, বিএনপি নেতা এডভোকেট এস আর ফারুক, আবু হোসেন বাবু, সৈয়দা রেহানা ইসা, স ম আব্দুর রহমানসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, মহিলাদল, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতৃবৃন্দ। এ সময় আলোচনা সভা স্থলে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত হন এবং সেটি বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়।