স্বাধীনতা দিবসের র্যালিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ছাত্রী লাঞ্ছনার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২১ পিএম, ২৬ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৩৭ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) স্বাধীনতা দিবসের র্যালিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। বাগবিতণ্ডা চলাকালীন ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের পদপ্রত্যাশী নেতা খন্দকার তায়েফুর রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকজন ছাত্রী লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে। লাঞ্ছনার প্রতিবাদে আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অভিযুক্ত নেতার বহিষ্কার ও বিচার দাবি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৮ টার দিকে বেগম রোকেয়া হল ছাত্রলীগ ইউনিটের ছাত্রীরা একটি র্যালি বের করে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ মরণ সাগর বেদিতে ফুল দিতে যায়। এসময় ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ এসে তাদের বাধা দেয়। এসময় ওই গ্রুপের ছাত্রলীগের পদপ্রার্থী নেত্রী ইসরাত জাহান রিজা ওই র্যালি থেকে কিছু ছাত্রী নিয়ে আলাদা হতে চায়। এসময় ওই হলের সাধারণ সম্পাদক তানজিনা শিকদার এতে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তায়েফ রিয়াদ ও তার দলের নেতাকর্মীরা এসে জোরপূর্বক ওই হলের কিছু ছাত্রী আলাদা করে নিয়ে চলে যায়।
এদিকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিচার দাবি করে সাধারণ ছাত্রীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরারর একটি অভিযোগপত্র জমা দেয় লাঞ্ছনার শিকার হওয়া ছাত্রীরা।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনাস্থলে তায়েফ রিয়াদের নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে তায়েফ রিয়াদসহ কয়েকজন একাধিক ছাত্রীর গায়ে হাত দেয়। ওই ঘটনায় বাকৃবির শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা অপমানিত, লাঞ্ছিত ও সংক্ষুব্ধ। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার অতি দ্রুত বিচার করে তায়েফ রিয়াদসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে খন্দকার তায়েফ রিয়াদ বলেন, এটা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। এমন কিছুই করা হয়নি। বরং মেয়েরা হলের সিনিয়র নেত্রীবৃন্দদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। আমাকে হেয় করার জন্য এমন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে বেলা আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারী ছাত্রীবৃন্দ ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অফিসে অভিযোগ নিয়ে আসলে তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের সঙ্গে বসে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করার আশ্বাস দেওয়া হয়।