সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশকে নরকে পরিণত করেছে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৩ পিএম, ২৬ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে গোটা দেশকে একটা ‘নরকে পরিণত’ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আজকে বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। ছয় ’শ এর অধিক নেতাকর্মীকে গুম করে দেয়া হয়েছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সামগ্রীক অর্থে গোটা বাংলাদেশ এখন একটা নরকে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে বেড়িয়ে আসা। আর একটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশকে মুক্ত করা। আজকের এই মহান দিনে এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই শপথ আমরা গ্রহণ করছি। আমরা শপথ গ্রহণ করছি, জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলে জনগণের একটা বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো। অবশ্যই আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার এবং জনগণের সংসদ গঠন করবো।
আজ শনিবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন ও ফাতেহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে এই দিনে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে সমগ্র জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম। লাখো মানুষ সেদিন শহীদ হয়েছেন। কয়েক লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। বহু ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়, অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। কিন্তু সেই আশা আকাঙ্ক্ষা ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে বর্তমানে ক্ষমতা দখল করে থাকা সরকার। তারা পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় নেতা যিনি দীর্ঘ ৪০ বছর গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে আটক করে রেখেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য-সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি'র আহবায়ক আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহববুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, আমিনুল ইসলাম, তকদির হোসেন মোঃ জসিম, নবী উল্লা নবী, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।