খুলনায় পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে বিএনপির অনশন কর্মসূচি পালন
সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হলে তার পরিণতি ভালো হবেনা - আজিুল বারী হেলাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৪ পিএম, ২৪ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১১ পিএম, ৬ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে কর্মসূচি পালনে বাঁধা, মঞ্চ ভেঙ্গে ফেলা, ব্যানার ও মাইক কেড়ে নেয়া, গ্রেপ্তারের হুমকির পরেও খুলনায় প্রতিকী গণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
আজ বৃহস্পতিবার দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশী বাঁধার মুখে পড়েন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টায় কর্মসূচি শুরু হওয়ার কিছু সময় আগে খুলনা সদর থানার ওসির নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় নির্মিতব্য মঞ্চ ভেঙ্গে ফেলে এবং মালামাল আটক করে থানায় নিয়ে যেতে উদ্যত হলে বিএনপি নেতারা বাঁধা দেন। এ সময় প্রায় আধাঘন্টাব্যাপি দু’পক্ষের তীব্র বাকবিতন্ডা চলে।
এ সময় সেখানে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে নগরীর বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড থেকে মিছিল এলে কর্মসূচি শুরু হয়। জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীও কর্মসুচিতে যোগ দেন। প্রখর রোদের ভেতরে নেতাকর্মীরা রাস্তায় বসে অনশনে অংশ নেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে কর্মসূচি প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
বক্তৃতায় তিনি পুলিশি আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করছিল। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মানুষের পক্ষে, দেশের পক্ষে ছিল এ কর্মসূচি। কিন্ত অবৈধ সরকারের নির্দেশে পুলিশ স্টেজ ভেঙ্গে দিয়ে কর্মসূচি ভন্ডুল করতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, খুলনার মানুষ ঐক্যবদ্ধ, অতীতে যার প্রমাণ রয়েছে। সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হলে তার পরিণতি ভালো হবেনা। আগামীতে একটি অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
দুপুর পৌনে ২টার দিকে সিনিয়র বিএনপি নেতা স ম আব্দুর রহমান অনশনরতদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙ্গেন। এরপর দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতারা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মসূচি বাঁদাগ্রস্ত ও পন্ড করতে পুলিশের ন্যাক্কারজনক আচরণের তীব্র নিন্দা জানান।
এ সময় বক্তৃতা করেন আহবায়ক শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। তারা বলেন, কর্মসুচি পালনে আগের দিন পুলিশ প্রশাসন অনুমতি প্রদান করে। অথচ সকালে এসে দেখি থানার ওসি নিজে নেতৃত্ব দিয়ে মঞ্চ ভেঙ্গে ফেলছে এবং হুমকি ধামকি দিয়ে সবাইকে ভীতিগ্রস্ত করে তুলছে। এ সময় দীর্ঘক্ষণ বাকবিতন্ডার পর বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড থেকে প্রচুর নেতাকর্মী হাজির হলে কর্মসূচি শুরু হয়।
তারা বলেন, একটি সরকার যখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাদের পায়ের তলার মাটি সরে যায়, তখন তারা পুলিশের ওপর নির্ভর করে টিকে থাকতে চায়। কিন্ত এভাবে টিকে থাকা যায়না। অচিরেই দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে ফ্যাসিবাদ পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, আব্দুর রকিব মল্লিক, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম নান্নু, শামসুল আলম পিন্টু, মাসুদ পারভেজ বাবু, এনামুল হক সজল প্রমুখ।