গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইয়ের বিকল্প নেই : নজরুল ইসলাম খান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২৩ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৩৪ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
দেশে গণতন্ত্র, সামাজিক মর্যাদা ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইয়ের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এজন্য বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি অত্যন্ত জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় করণীয় শীর্ষক’ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শফিউল আলম প্রধানের স্মরণে জাগপা এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে সেই তথাকথিত ক্ষমতাবান ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন কোথায়? এখনো যারা তাদের মতো স্বপ্ন দেখছেন তারা ভুলে যান। এবার ছলচাতুরি করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ যাকে পছন্দ করবে তারাই সরকার পরিচালনা করবেন।’
মরহুম শফিউল আলম প্রধানের স্মৃতিচারণ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, শফিউল আলম প্রধান ছিলেন অত্যন্ত সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ নেতা। তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ২৩ মার্চ বৃহত্তর দিনাজপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন। সেদিন ছিল পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন দিবস। শফিউল আলম প্রধান সেদিনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার নিজ জেলা দিনাজপুরে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। অথচ তখনো পাকিস্তান বাহিনী সক্রিয়। কিন্তু আমরা সে দিনটাকে মনে রাখিনি। শুধু কি তাই! জাতি তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথাও মনে করতে পারে না। কিন্তু সে তো ইতিহাস। স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে মওলানা ভাসানী বা শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা কি অস্বীকার করা যাবে? যুদ্ধকালীন সময় জিয়াউর রহমানের অবদান কি করে ভোলা যায়?’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বিশ্বের কোন দেশে ৯ মাসের যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে? লাখ লাখ নারী তাদের ইজ্জত-সম্ভ্রম হারিয়েছেন? যেখানে স্বাধীনতার ঘোষকের অবদান স্বীকার করা হয় না। যেখানে শফিউল আলম প্রধানের কথা তো পরে! আজকে ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে! এখন তো আওয়ামী লীগ ছাড়া কারো কিছুই স্বীকার করা যায় না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে তাদের কয়জন লোক অংশ নিয়েছিল?’
নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে প্রখ্যাত এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘এখন জিনিসের দাম এমন যে, হালাল উপার্জন করে খেয়ে-পরে টিকে থাকা দায়। তার ওপর তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। সরকার বলছে বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে। তো বিশ্ববাজারে যখন দাম কমে তখন কী আপনারা দাম কমান? দাম বাড়ার আগেই যে বাড়তি দামে বিক্রি করেছেন তাহলে সেই টাকা ভর্তুকি দেন। কিন্তু তারা তা করেনা। কারণ সরকারের লোকেরা দুর্নীতিবাজদের সাথে মিশে আছে। তারা তাদের থেকে ভাগ পায়। এমতাবস্থায় আমাদেরকে শফিউল আলম প্রধানের মতো সংগ্রামী মানসিকতা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
জাগপার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের এহসানুল হুদা, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের প্রমুখ।