মওদুদ আহমদ ও খোন্দকার দেলোয়ারের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ১৬ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০১ এএম, ২৯ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও দলটির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
আজ ১৬ মার্চ মওদুদ আহমদের প্রথম ও খোন্দকার দেলোয়ারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা, নোয়াখালী ও মানিকগঞ্জে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা অংশ নেবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ওই দিন সকাল ১০টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে মওদুদ আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মরহুমের কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভা হবে। এতে অংশগ্রহণ করবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বেলা ৩টায় নোয়াখালীর কবিরহাটে মওদুদ আহমদের সংসদীয় এলাকায় আলোচনা সভায় অংশ নেবেন স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ বুধবার দুপুর ১২টায় (জোহর পূর্ব) মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে করব জিয়ারত ও আলোচনা সভা হবে। এতে অংশগ্রহণ করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া, আগামী শনিবার (১৯ মার্চ) খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় আলোচনা সভা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৬ মার্চ মওদুদ আহমদ ও ২০১১ সালের ১৬ মার্চ মারা যান খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। দুজনই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান। নির্বাচিত সংসদ সদস্য হওয়ার পাশাপাশি মওদুদ আহমদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি, উপপ্রধানমন্ত্রী, আইন, সংসদ ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠক মুজিবনগর সরকারের মুক্তিযুদ্ধের ‘পোস্টমাস্টার জেনারেল’ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার কারণে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছিলেন রণাঙ্গনের এই মুক্তিযোদ্ধা। এক-এগারোর সামরিক প্রভাবিত সরকারের সময়ে বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে সংগঠনের নেতৃত্বে দেয়ায় বিএনপিতে এখনও সেই ভূমিকা প্রশংসিত।
ভাষা সৈনিক, বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও বরেণ্য রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী : বিএনপির সাবেক মহাসচিব, বরেণ্য রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীর এই দিনে আমি তার বিদেহী আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
আইন পেশার পাশাপাশি মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন একজন দৃঢ়চেতা, আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের মানুষের মনে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত থাকবেন। দৃঢ়তা, অটুট মনোবল, সরল ও অনাড়ম্বর জীবন-যাপন এবং প্রখর ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতায় একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সকল সংগ্রামে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান।
মরহুম দেলোয়ার হোসেন রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবার নানা কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। ১/১১-তে দেশের এক চরম রাজনৈতিক সংকটকালে বিএনপি মহাসচিবের দায়িত্ব¡ কাঁধে নিয়ে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন দেশ ও দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত রুখে দিতে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র ও ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ দর্শনকে বুকে ধারণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রত্যেকটি আন্দোলন-সংগ্রামে অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।