ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২০জন আহত, বাড়িঘর ভাংচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ১৩ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:২৪ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ফরিদপুরের সালথায় স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে একটি গ্রামে আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ৫টি বসতঘর ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা।
আজ রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বাসুয়ারকান্দী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার সকালে কানাইড় গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ সমর্থক কুদ্দুছ শেখের অনুসারী ওমর মাতুব্বরের সাথে বর্তমান ইউপি সদস্য ইউপি যুবলীগের সহ-সভাপতি পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থক আকবর শেখের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই সুত্রধরে আওয়ামী লীগের সমর্থক দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ কানাইড় গ্রামে গিয়ে উত্তেজনা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এই জের ধরে পাশের বাসুয়ারকান্দী গ্রামে কুদ্দুছ শেখের সমর্থকদের সাথে পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষের সমর্থকরা ইট ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ৫টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ সংঘর্ষে পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থক মুন্নু শেখ, কামাল শেখ, রাজীব শেখ, রিপন শেখ, বাবু শেখ, সেলিম শেখ, আরিফ শেখ, সাকিব শেখ, মোহাম্মদ আলী ফকির ও কুদ্দুছ শেখের সমর্থক দুলাল শেখ শামীম মোল্যা, আনছার মাতুব্বর, তুহিন শেখ, শাহীন শেখ সহ উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থক সাবেক ইউপি সদস্য কুদ্দুছ শেখ বলেন, আমার সমর্থক ওমর মাতুব্বরকে সকালে পারভেজ মাতুব্বরের লোকজন মারধর করে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় বাসুয়ারকান্দী গ্রামের আমার সমর্থকরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় দুলাল শেখকে পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থকরা মারধর করে। তখন ওখানেই সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে আমার ৭/৮ জন লোক আহত হয়। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে আমার জানা নাই।
এদিকে বর্তমান ইউপি সদস্য ইউপি যুবলীগের সহ-সভাপতি পারভেজ মাতুব্বর বলেন, কানাইড় গ্রামের উত্তেজনার বিষয়টি মিমাংশা করার কথা বলে পার্শ্ববর্তী বাসুয়ারকান্দী গ্রামে গিয়ে আমার সমর্থকদের কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে কুদ্দুছ শেখের লোকজন। হামলা ঠেকাতে গিয়ে আমার ১০/১২ জন লোক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মারুফ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।