সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ শীর্ষ ১৭ নেতার জামিন না মঞ্জুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ১৩ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩১ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
পুলিশ বাদী একটি নাশকতার মামলায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ মজিবর রহমান লেবু,সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফাজামান সহ বিএনপির শীর্ষ ১৭ নেতার জামিন না মনজুর করে তাদেরকে কারাগারের প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোঃ নাজির।
আজ রবিবার বেলা সোয়া তিনটার সময় জনাকীর্ণ আদালতে তিনি এই নির্দেশ দেন। জামিন না মনজুর প্রাপ্ত অন্যরা হচ্ছেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি অমর কৃষ্ণদাস, জাহাঙ্গীর হোসেন ভুইঞা সেলিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনসি আলম, লিয়াকত আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফাজামান, দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ, জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও সয়দাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিক সরকার, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোরাদুজ্জামান, সিনিয়র সহ সভাপতি মেনহাজ উদ্দিন মেন্না, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজেশ, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বরাত, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আলম ও বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন।
কোট সুত্র ও আসামী পক্ষের আইনজীবি ব্যারিস্টার আব্দুল বাতেন,এডভোকেট মীর রুহুল আমিন বাবু, রফিক সরকার,ইন্দ্রজিত সাহা নাজমুল হোসেন জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর তারিখে দুপুর ২টায় সিরাজগঞ্জ সরকারী ইসলামিয়া কলেজ মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবীতে জেলা বিএনপির সমাবেশে আসার সময় কলেজ রোড, নবদ্বীপ পুল, রেলগেট এলাকায় বিএনপির মিছিলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করলে সংঘর্ষ বাঁধে, এক পর্যায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়ে বহু মানুষ আহত হয়। আওয়ামী লীগের অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচু করে সংঘর্ষে লিপ্ত হলেও পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে তিনটি মামলা দায়ের করে এবং একই ঘটনায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আরও তিনটি মামলা করা হয়।
ছয় মামলায় হাইকোট থেকে বিএনপির ২৬৬ জন অগ্রিম জামিন লাভ করেন। আজ রবিবার সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক জিআর ৮৪৩/২১ সিরাজগঞ্জ সদর থানার মামলা নং ৫০ তারিখ ৩১.১২.২০২১ এর উল্লেখিত বিএনপি শীর্ষ ১৭ নেতার জামিন না মনজুর করেন এবং ৬ টি মামলার হাইকোট থেকে অগ্রিম জামিনপ্রাপ্তদের স্হায়ী জামিন প্রদান করেন।
এদিকে হাইকোটের অগ্রিম জামিন প্রাপ্ত জেলা বিএনপির শীর্ষ ১৭ নেতাকে স্থায়ী জামিন না দিয়ে কারাগারের প্ররণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দের আশু মুক্তি দাবী করেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি বেগম রুমানা মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ খান হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট।