নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল ও হাট সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ১২ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৩৯ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজশাহী পবা উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও হাটসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, চাল, ডাল ও তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি ও সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে এই কর্মসূচী পালন করে নেতৃবৃন্দ।
আজ শনিবার সকাল ৭টায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে নগরীর খরখড়ি বাইপাসে পাইকারী কাঁচাবাজারে এ লক্ষে বাজারে আগত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে প্রতিবাদী লিফলেট বিতরণ করেন।
লিফলেট বিতরন উদ্বোধনীতে মিলন বলেন, এই সরকার দেশের মানুষকে যেমন কারাগারে রেখেছে। তেমনি লাগামহীন নিত্যপন্যের মূল্য বৃদ্ধি করে মানুষদের না খাইয়ে মেরে ফেলার পাঁয়তারা করছে। তিনি বলেন, প্রতিটি পন্যের মূল্য এখন আকাশ ছোঁয়া হয়ে গেছে। গরুর গোস্ত থেকে মুরগী- মাছ, শাক ও সবজীসহ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। একটু কম মূল্যে খাবার সামগ্রী ক্রয় করতে টিসিবির লাইনে সব শ্রেণি পেশার মানুষ লাইন দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পন্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। মানুষের মধ্যে দূর্ভিক্ষের ছায়া পরে গেলেও সরকার ও তার চাটুকর মন্ত্রীরা মাথাপ্রতি আয় বৃদ্ধির মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করছেন। সেইসাথে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দেশবাবসীকে ধোকা দিচ্ছেন বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিনা ভোটের এবং রাতের আধারের সরকার হওয়ায় জনগনের প্রতি এই সরকারের কোন দায়বদ্ধতা নাই। কারন জনগনের ভোটে এই সরকার নির্বাচিত হয়। তারা প্রশাসন ও আইনশৃংখলাবাহিনীর দ্বারা নির্বাচিত হওয়ায় জনগণের দু:খ কষ্ট নিয়ে তামাসা করছে। কেউ বলতে তাকে গুম, খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করছে। শুধু তাইনয় এগুলো করে সরকার ও তার নেতাকর্মীরা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে দেশের বাহিরে পাচার করেছে।
তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের নামেও লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লোপাট হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নাই। কারন সরকার নিজেই এর সঙ্গে জড়িত বলে জানান তিনি। এই অবস্থা থেকে জনগণকে বাঁচাতে, দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎিসা করার লক্ষে আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। চলতি মাসের ১৫ তারিখের পরে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন শুরু হবে। এই আন্দোলনে সকলকে রাজপথে নামার আহবান জানান তিনি।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান আলী, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জল, পবা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম, পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক রেজাউল করিম, সদস্য সচিব রেন্টু, হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক মজিবুর রহমান, নওহাটা পৌর বিএনপি’র আহবায়ক এমদাদুল হক, সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন, হুজরীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক গোলাম মুজাহিদ, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান আহম্মেদ, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তাইজুল ইসলাম ও রায়হান পান্না।
আরো উপস্থিত ছিলেন নওহাটা পৌর যুবদলের আহবায়ক সুজন মোল্লা, নওহাটা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিলন ও সদস্য সচিব গোলাম রাব্বানী, নওহাটা পৌর বিএনপি’র সদস্য মাইনুল, পবা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, আসাদুজ্জামান বাবু, শফিকুল ইসলাম শফি, আক্তারুজ্জামান, জেলা যুবদলের সদস্য জেবার আলী, পবা উপজেলা যুবদলেল সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, সাজ্জাদ, রবিউল ইসলাম শফিকুল, পবা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মামুন আক্তারুজ্জামান, সদস্য খোরশেদ আলম রনি, যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম, মোস্তাক আহম্মেদ, জেলা ছাত্রদলের সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম জনি, পবা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আলামিন, সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান, ছাত্রদল নেতা হাফেজ, মাহাবুব, হুমায়ন কবীর, জাহিদ ও খাইরুলসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী।