নিজের জমিতে ঘর তুলতেও চাঁদা দিতে হয় - জি এম কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ১০ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৪৪ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নেই, সামাজিক নিরাপত্তা নেই, সড়কে বের হলে জীবনের নিরাপত্তা নেই, স্বামী ও সন্তান নিয়ে বেড়াতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন নারী, ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। নিজের ঘরেও মানুষের নিরাপত্তা নেই। এখন নিজের জমিতে ঘর তুলতেও চাঁদা দিতে হয়। মানুষ জানে না, কার কাছে গেলে কী সমাধান পাওয়া যায়। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভার উদ্বোধনী বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এ সভা হয়।
জি এম কাদের বলেন, প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। আজ একটির দাম বেশি, কাল অন্যটির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রতিদিন মানুষের ব্যয় বাড়ছে কিন্তু আয় বাড়ছে না। প্রতিদিন বেকারের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু কর্মসংস্থান বাড়ছে না। দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। দেশের কোথাও জবাবদিহিতা নেই। পরতে পরতে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে, প্রতিদিনই দুর্নীতি বাড়ছে, দেখার যেন কেউ নেই। এভাবে চলতে পারে না, দেশের মানুষ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়।
কাদের আরও বলেন, রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে বিশ্ব দুই ভাগ হয়ে পড়েছে। যুদ্ধের জন্য অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যুদ্ধের এই বিরূপ প্রভাবের ঢেউ বাংলাদেশের রাজনীতিতেও লেগেছে। তাই দেশের রাজনীতি কোন পথে যায়, নিশ্চিত করে বলা যায় না। দেশে রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা মাত্র তিনটি দলের রয়েছে, এর মধ্যে জাতীয় পার্টি অন্যতম। তাই আগামী দিনের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির সম্ভাবনা আছে।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। দুর্নীতি, দুঃশাসন আর সরকারি দলের কর্মীদের অত্যাচারে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার বলে অনেক উন্নয়ন করেছে অথচ টাকা দিয়ে টিকিট কিনে মানুষ গণপরিবহনে উঠতে পারে না। সভায় সভাপতিত্ব করেন জি এম কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন দলের কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন প্রমুখ।