প্রভাবশালী পরিবার জড়িত থাকায় ত্বকী হত্যার বিচারে দেরি হচ্ছে - আইভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ৬ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:০৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জবাসীর ধারণা প্রভাবশালী পরিবার জড়িত থাকায় ত্বকী হত্যার বিচার বিলম্বিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ সময় তিনি বলেন, আমরা চাই সরকার যেটা সঠিক যেটা ন্যায্য সেটাই করবে।
আজ রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দর খেয়াঘাট এলকায় সিরাজ শাহর আস্তানায় ত্বকীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিল শেষে তিনি একথা বলেন।
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ৯ বছর যাবত আমাদের সন্তান ত্বকী হত্যার বিচার চাইতে হচ্ছে। বিচারটা হচ্ছে না সঠিকভাবে। অনেকগুলো আলোচিত হত্যাকান্ডের বিচারই বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে। এমনকি নারায়ণগঞ্জেরও কিছু আলোচিত হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা সরকারের কাছে বলতে চাই ত্বকী হত্যার বিচার দ্রুত করা হোক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সন্তান ছোট বাচ্চাটাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যাকান্ডের আমরা বিচার চাই। আমরা চাই না প্রতি মাসের ৮ তারিখে নারায়ণগঞ্জের মানুষ মোমশিখা প্রজ¦লন করে ত্বকী হত্যার বিচার দাবি করুক। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে বিচার করা হোক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী, উন্মেষ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ ঘোষ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ৯ বছর উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় পাঁচ দিনব্যপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এর আগে ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী শহরের শায়েস্তাখান সড়কের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ৭ মার্চ (নিখোঁজের একদিন পর ও লাশ উদ্ধারের একদিন আগে) এ লেভেল পরীক্ষার রেজাল্টে পদার্থ বিজ্ঞানে ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৯৭ পায় সে যা সারাদেশে সর্বোচ্চ। এছাড়া ও লেভেল পরীক্ষাতেও সে পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন পরীক্ষাতে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিল। পরে ৮ মার্চ সকালে চাড়ারগোপে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে তার লাশ পাওয়া যায়। ত্বকী হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ৮ জনই পলাতক। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন আসামি ইউসুফ হোসেন লিটন ও সুলতান শওকত ভ্রমর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু এ হত্যাকান্ডের ৯ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়নি।