নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হচ্ছে জুলুম-নির্যাতন : বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ৪ মার্চ,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০১ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিরোধী দল ও মতকে নিশ্চিহ্ন করতেই হত্যা-গুমের পথ ধরে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হচ্ছে জুলুম-নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গত ২ মার্চ বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে নোয়াখালী জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশি হামলা ও পরবর্তীতে সুধারাম থানার পুলিশ বাদী হয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম উদ্দিন, জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক ওমর ফারুক টপি, জেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছাবের আহম্মদসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০-২০০ জনকে আসামী করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে। ইতিমধ্যেই উক্ত মামলায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার অধঃপতনের সর্বনিম্ন অবস্থান করছে। মৌলিক মানবাধিকার হরণ, মনুষ্যত্বহীনতা বর্তমান সরকারের স্বরূপ। বিরোধী দল ও মতকে নিশ্চিহ্ন করতেই হত্যা-গুমের পথ ধরে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হচ্ছে জুলুম-নির্যাতন। আওয়ামী লীগ এখন কর্তৃত্ববাদী শাসকের রূপ পরিগ্রহ করে মানবতাবিবর্জিত কান্ডজ্ঞানহীন শক্তিতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির যেকোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ও লোক সমাগম দেখলেই জনসমর্থনহীন আওয়ামী লীগ সরকার বেসামাল হয়ে উঠছে। বিএনপি ভীতিতে এই গণবিচ্ছিন্ন সরকার এতটাই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে যে, নেতাকর্মীদের দমনের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে গত ২ মার্চ নোয়াখালীতে বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশী হামলা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খানকে গ্রেফতার চলমান দুঃশাসনের আরেকটি দৃষ্টান্ত। ধারাবাহিকভাবে ঘৃন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের মধ্য দিয়ে অনৈতিক আওয়ামী সরকার নিজেদেরকে নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদী শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। সরকার এখন তাদের পতনের শেষ সীমানায় অবস্থান করছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে- গণবিচ্ছিন্ন ও বেআইনি ক্ষমতার প্রবল প্রতাপ জনগণ বেশি দিন সহ্য করে না। ইতিহাসের সত্যকে অস্বীকার করলে ধ্বংস অনিবার্য। বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে নোয়াখালী জেলায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ভুয়া ও অসত্য মামলা প্রত্যাহারসহ জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খানের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।
পৃথক বিবৃতিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম গত ২ মার্চ বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে নোয়াখালী জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশি হামলা ও পরবর্তীতে সুধারাম থানার পুলিশ বাদী হয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম উদ্দিন, জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক ওমর ফারুক টপি, জেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছাবের আহম্মদসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খানকে গ্রেফতার করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার ও নুরুল আমিন খানের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।