আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামিলীগের দু-গ্রুপের বিরোধে দিশেহারা জনসাধারণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৩১ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে পান্টি বাজার আবারও দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আলী নামের একজনকে আটক করেছে কুমারখালী থানা পুলিশ। আহতদের মধ্যে উভয় পক্ষের গোপাল, কামাল ও শাজাহান নামের তিনজন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর ও পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এলাকায় যেকোনো তুচ্ছ ঘটনায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর উভয় পক্ষের শত শত নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান করে। এসময় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের তিনজন আহত হয়। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে পুলিশ এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আনে। এখনো ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ বিষয়ে পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই সংঘর্ষ হয়েছে। প্রতিপক্ষরা পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে স্বীকৃতি দেয় না। তাই ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে বারবার এমন ঘটনা ঘটেছে। দলীয় অভিভাবকের অভাবে নিজেদের মধ্যে বিবাদমান সমস্যার সমাধান হচ্ছেনা।
তিনি আরও বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের ক্যাডার বাহিনী কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে অফিসের সামনে মহড়া ও কটূক্তিমূলক স্লোগান দিচ্ছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সমর্থকেরা প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আমার একজন সমর্থক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জাহিদ হোসেন জাফর বলেন, পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সিল সুমনের থেকে তুলে দিলে আর এমন ঘটনা ঘটবে না।
তিনি আরও বলেন, 'আমার সমর্থকেরা মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল। কোন কারণ ছাড়াই প্রতিপক্ষরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে গোপাল নামের একজনকে হাত-পা ভেঙে গুরুতর আহত করেছে। কামাল নামের আরও একজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুনরায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।