দেশ ও জনগনকে রক্ষা করতে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে - নজরুল ইসলাম খান

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দেশে আজ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপে জনজীবনে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা দিনের ভোট রাতে করে দখলদারীর মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে তাই জনগণের কাছে জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা তাদের নেই। এ কারনে সরকার দফায় দফায় পানি, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মুল্য বাড়াচ্ছে। কিন্তু জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। তিনি বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয় তাই সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। 

আজ বুধবার দুপুরে বগুড়ার নবাব বাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি এবং সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়া জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বগুড়া পৌরসভা মেয়র রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে ও বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনার পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনের সময় সরকারে থাকে, তাহলে কোনো নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না।  তিনি বলেন, আসুন আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নয়, গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করবার জন্য, আমার সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে একটা দুর্বার সংগ্রাম গড়ে তুলি, যে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, একনায়কতন্ত্রী, কতৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার জনগণের সংসদ গঠন করতে পারবো।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়রপার্সনের উপদেষ্ঠা ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মো: হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। 

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন, লাভলী রহমান, কে এম মাহবুবর রহমান হারেজ, বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির, এম আর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, কেএম খায়রুল বাশার, এ কে এম তৌহিদুল আলম মামুন, শেখ তাহা উদ্দিন নাইন, শহীদ উন নবী সালাম, এনামুল কাদির এনাম, মোরশেদ মিল্টন, মনিরুজ্জামান মনি, সাইদুজ্জামান শাকিল, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, শহর বিএনপির আহ্বায়ক মশিউর রহমান শামীম, যুগ্ম আহবায়ক জহুরুল ইসলাম ডালু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, ডাঃ আশিক মাহমুদ ইকবাল স্বাধীন, মাসুদুর রহমান হিরু, হুমায়ুন কবীর গেদা, বগুড়া জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক সরকার মকুল, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, জেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফার্মার রফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম বাবলু, এনামুল হক সুমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান, সাধারন সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয়, এ্যাডঃ সৈয়দ জহুরুল আলম, মাহিদুল ইসলাম গফুর, আবু সালেহ নয়ন, শামীম রেজা, সেলিম রানা, আতিকুর রহমান আতিক, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক ময়নুল হক বকুল, সদর যুবদলের আহবায়ক অতুল চন্দ্র দাস, শহর যুবদলের আহসান হাবিব মমি, যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ সুজন, আদিল শাহরিয়ার গোর্কি, রাকিবুল ইসলাম শুভ, শহর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক জামিনুর হাসান শাওন, আশরাফুজ্জামান প্রবালসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।