দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে হাহাকার করছে : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৩ পিএম, ১ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৫৭ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের সার্চ কমিটি একটি প্রহসন ছিল, তাদের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রঞ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে তারা সরকারের অধীনে চাকরি করছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের পদোন্নতি দিয়েছেন। ভবিষ্যতে তারা সরকার প্রধানের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। তাই তাদের কাছে একটাই দাবি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় সরকারের গ্যারান্টি।
আজ মঙ্গলবার (১ মার্চ) শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্থা (জাসাস) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নবগঠিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রিজভী জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি একটি প্রহসন ছিল। তাদের সবকিছুই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রঞ্জিত। নির্বাচন গবেষকদের দাবি উপেক্ষা করে নিজেদের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। তারা আওয়ামী লীগ চেতনায় লালিত, জয় বাংলা চেতনায় লালিতদের নিয়ে সরকার আরও একটি পাতানো নির্বাচন ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে। নবগঠিত সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বিএনপিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানাবেন বলে যে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিক্রিয়ায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, সদ্যবিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারও একই সুরে কথা বলেছিলেন। জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে শীর্ষ নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়েছেন কথা বলেছেন। তারা ইভিএমের ব্যাপারে জনগণের যে সন্দেহ ছিল সেই বিষয়গুলো কমিশনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল। তখন হুদা কমিশন আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল না চাইলে আমরা ইভিএমে ভোট করবো না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথার বাইরে তো নির্বাচন করতে পারবেন না। যা পরবর্তীতে নির্বাচনে উঠে এসেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, একটা কঠিন দুর্দিন অতিক্রম করছি। একদিকে মানুষের পেটে খাবার নেই, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে হাহাকার করছে। খাবারের জন্য সন্তান নিয়ে কি করছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। অন্যদিকে সরকার উন্নয়নের বুলি আওড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই আমরা দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শুনতে পাই। আমরা দুর্ভিক্ষ দেখতে পাই। ৭২ থেকে ৭৫ কি ভয়াবহ দুর্দিন গেছে। আমরা মাছ ধরার জাল পরে মহিলাদের লজ্জা নিবারণ করতে দেখেছি।
রিজভী বলেন, এই সরকার জনগণের মুখের আহার কেড়ে নিয়েছে। তথাকথিত উন্নয়নের নামে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। ক্ষমতাসীন লোকেরা টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। বিদেশের বিভিন্ন দেশে বাড়ি করেছে এটা আমাদের কথা নয় গণমাধ্যমে কথা। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে যারা কবর দিয়েছে। জনগণের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। যাদেরকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। গণতন্ত্রকে আত্মসাৎ করে কবর দিয়েছে। তারা তো জনগণের বাঁচা-মরার কথা চিন্তা করবে না। জনগণ বাঁচল কি মরল এটা তারা ভ্রুক্ষেপ করবে না।
এ সময় জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, জাসাস কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম স্বপন, উত্তরের আহবায়ক শরীফুল ইসলাম স্বপন, জাসাস কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য এনামুল হক জুয়েল, মোঃ মিজানুর রহমান, জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের সদস্য সচিব শফিকুল হাসান রতন, আনোয়ার হোসেন আনু, জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শওকত আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ হাসিনুর ইসলাম তপু, ফারজানা আফরোজ পারুল, মালেক সাগর, আসাদুজ্জামান মনন আসাদ, মোঃ আশরাফুল করিম মিন্টু, ওবায়দুল হক চঞ্চল, শামীম মাহমুদ, সেলিম উদ্দিন সেলিম, জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মালেক মুন্সি, যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, কাওসার আলম খান, শামীম মন্ডল, মোঃ ওমর ফারুক, জাহিদ হোসেন ইমন, আনোয়ার হোসেন চানু, সদস্য একে এম শামসুল কবির মিলন প্রমুখ।