এখন প্রশাসন-আওয়ামী লীগ একাকার - রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৩ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৭ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যে সততা বলতে কোনো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রশাসন-আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, তারা একাকার হয়ে গেছে, অর্থাৎ ফ্যাসিবাদের এটি হচ্ছে একটা গুণাবলী। প্রশাসন ছাড়া তারা থাকতে পারবে না। প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ এক। প্রশাসন কোনো কথা বললে সেটা আওয়ামী লীগেরই কথা।
আজ রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আব্দুস সালামের সাম্প্রদায়িক উক্তি ও নিপুণ রায় চৌধুরীর ওপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কেরানীগঞ্জের ওসি সম্পর্কে রিজভী বলেন, যারা ধর্মনিরপেক্ষতার ঝান্ডা তুলে রাজত্ব করছে তাদের প্রশাসনের কাছ থেকে এ ধরনের কথা ব্যবহার পাওয়া যাবে এটা অসাধারণ কিছু নয়। আমাদের তা মেনে নিতে হবে। কারণ রাজনীতিতে যখন আদর্শ থাকে না, রাজনীতিতে যখন ভন্ডামি থাকে তখন এটা হতেই পারে। সুশীল সমাজের কড়া সমালোচনা করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে সুশীল সমাজ বলে একটি গোষ্ঠী আছে তারা কারণে-অকারণে বক্তব্য দেয়। পারলে তারা বিএনপিকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা করে। কোথায় আছে সেই সুলতানা কামাল, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবির? নিপুণ রায় চৌধুরীকে নিয়ে যে সাম্প্রদায়িকতা করেছে ওসি, তার বিরুদ্ধে একটা বিবৃতি তারা দিল না কেন? এটা আজ সকলের প্রশ্ন।
গোপালগঞ্জের ছাত্রীর শ্লীলতাহানির কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গোপালগঞ্জের এক ছাত্রীকে ভীষণভাবে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। সকল ছাত্রছাত্রী এর প্রতিবাদ জানিয়েছে, রাস্তা অবরোধ করেছে। সেই অবরোধের মধ্যে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা করেছে। তাহলে যারা ধর্ষণ করেছে সে ধর্ষণকারীদের সাথে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশের মানুষের বিবেক নাড়িয়ে দিয়েছে সেই গোপালগঞ্জের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঘটনায়। কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার।
তিনি বলেন, ‘ওসি সালাম আর গোপালগঞ্জের প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য কি? কোনো পার্থক্য নাই। তারা জানে রাষ্ট্রীয় আশকারা আছে। তাই অন্যায়কারীরা আরও নির্যাতনের মাত্রা বেশি করছে।’
‘গার্মেন্টের মালিক বাণিজ্যমন্ত্রী হলে চায়ের দোকানদার কেমন আছে সে বুঝবে কেমনে’- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে। কারণ দেশের সাধারণ জনগণ বাঁচল না মরল সেটা তাদের দেখার বিষয় নয়। নিম্ন আয়ের থেকে মধ্যম আয়ের মানুষ হয়ে মরে যাও মরে যাও। টিপু মুনশি শুধু বেঁচে থাকবে তারাই রাজত্ব করবে। যে রাজত্ব হচ্ছে পিচাশের রাজত্ব। গোপালগঞ্জের ঘটনায় মনে হয়েছে বাংলাদেশে জনপদের কোথাও মানুষ নাই। তাই পিশাচের রাজত্ব তৈরি হয়েছে। সরকারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। জনগণের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নাই।