সোনাগাজীতে স্কুল সংস্কারে কাজের অভিযোগে গ্রামবাসীর সাথে আ.লীগ নেতার হাতাহাতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ফেনীর সোনাগাজীতে স্কুল সংস্কারে নিন্মমানের কাজের অভিযোগ নিয়ে গ্রামবাসীর সাথে মফিজুর রহমান ভূঞা নামে এক আ.লীগ নেতা ও তার দুই ছেলের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আলহাজ্ব শফি উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। মফিজুর রহমান ভূঞা আমিরাবাদ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি, ওই ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং ওই স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে আলহাজ্ব শফি উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজের জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরে দশ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজটি পায় হক ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সংস্কার কাজটি মৌখিকভাবে ক্রয় করে নেন আ.লীগ নেতা ও স্কুল পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মফিজুরর রহমান ভূঞা। ইতোমধ্যে তিনি কাজ শুরু করেন। কাজের শুরুতেই নির্মাণ শ্রমিকরা ঘুনে ধরা পুরাতন কাঠ দিয়ে দাসা ও বুতের তৈরী করলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। সোমবার দুপুরে স্থানীয়রা নিন্মমানের সংস্কার কাজের অভিযোগে প্রতিবাদ করেন।
এসময় আ.লীগ নেতা মফিজুর রহমান ভূঞা, তার দুই ছেলে মো. রাসেল ও মো. ফয়সাল ঘটনাস্থলে স্থানীয় গ্রামবাসীর সাথে হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের সাথে ছিলেন ইউপি সদস্য, স্থানীয় যুবলীগ নেতা গোলাম মাওলা, ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি চাঁন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্যাহ সওদাগর, দাতা সদস্য মোশারফ হোসেন, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও একরামুল হক, জামাল উদ্দিন, সুজল হক, মো. ইলিয়াছ, মো. কিরণ মিয়া ও প্রায় দুই শতাধিক গ্রামবাসী। অন্যদিকে মফিজুর রহমান ও তার দুই ছেলে এ হাতাহাতিতে অংশ নেয়।
উল্লেখ্য; ১৯৯৮ সালে, ৮৫ শতক জমির উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ১৫০জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত এবং ১২জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। ২০১৮ সালে ৮শ্রেনী পর্যন্ত সরকারিভাবে পাঠদানের অনুমতি পেলেও নবম-দশম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদানের আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যপারে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মফিজুর রহমান ভূঞা বলেন, কাজটি আমি ক্রয় করে দরপত্র মোতাবেক করছি। ইউপি সদস্য সহ গ্রামের কিছু লোক পরিকল্পিতভাবে আমি ও আমার ছেলেদের উপর হামলা করেছে।
ইউপি সদস্য গোলাম মাওলা বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে মফিজুর রহমান স্কুলটিতে স্বৈরতন্ত্র চালু করেছে। তার অপকর্মের প্রতিবাদ এবং নিন্মানের সংস্কার কাজের প্রতিবাদ করায় সে সহ গ্রামবাসীর সাথে মফিজুর রহমান ও তার ছেলেরা হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। দরপত্র মোতাবেক কাজটি সম্পাাদন করার জন্য অভিভাবক, শিক্ষক ও গ্রামবাসীরা দাবী জানিয়েছেন।
আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক হিরণ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং খতিয়ে দেখছি।