সোনারগাঁয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা, গ্রেফতার-৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৫৬ এএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাইকারটেক হাটের দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুকে প্রধান আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলো, রবিউল হোসাইন, রোমান, হৃদয়, অনিক, আলামিন ও শান্ত। এর আগে শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংঘর্ষে আহতের শিকার সিরাজুল ইসলাম সজল বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা (নং-৩২) দায়ের করেন।
মামলায় যুবলীগ সভাপতিকে ছাড়া যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুম বাবু, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শিপন মেম্বার, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এস.কে সজিব, সুমন, নূরে আলম, শফিকুল ইসলাম সাগর, হৃদয় প্রধান, অনিক প্রধান, আল আমিন, রোমান বাদশা, রবিউল, মলিন, শান্ত, পায়েল, রানা, রক্সি ও মামুন।
এর আগে গত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ১৩টি স্থায়ী হাটের দরপত্র জমা দেওয়ার দিন ছিল। মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী কাইকারটেক হাটটি ইজারা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সমর্থক রোমান বাদশা হাট পরিচালনা করে আসছিলেন।
বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনির সমর্থক সজল মিয়া তার লোকজন ওই হাটের দরপত্র জমা দিতে গেলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নান্নুপন্থি ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব, যুবলীগকর্মী সাগর, হৃদয়, অনিক, পলাশ, পায়েলসহ ২০/২৫ জনের যুবলীগের নেতাকর্মীরা এসে বাধা দেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সোহাগ রনির সমর্থক শেখ মেহেদী হাসান, সজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, পারভেজ মিয়া, রানা, মিরাজ হোসেন, আব্দুল আলী ও বাবুসহ ১৫ জন আহত হন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর পক্ষের ফারুক প্রধান, রবিউল প্রধানসহ ৩ জন আহত হন।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা এই পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারদের আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।