"মাদার অব ডেমোক্রেসি" এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে বেগম খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৪৪ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবনব্যাপী অবদানের জন্য মাদার অব ডেমোক্রেসি এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির জন্য জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঐতিহাসিক অবদান রেখে স্বৈরতন্ত্রের অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শেষে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ১৯৯১ সালে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজিয়ে দেশের প্রতি অনুপম দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন।
দেশ বিরোধী আধিপত্যকামী শক্তির ষড়যন্ত্রে ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতান্ত্রিক স্পিরিটের বাইরে অবস্থান নিলে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের স্বার্থে আবারও আপোসহীন ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। সেনা সমর্থিত সরকারের মাইনাস-টু থিউরির বিরোধিতা করে দেশ ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন।
বেগম জিয়ার ঐতিহাসিক আপোষহীন অনমনীয় মনোভাবের কারণে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনকাল প্রলম্বিত হয়নি। সেই ২০০৮ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত বেগম জিয়া কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে মাথা নত না করে গণতন্ত্রের পক্ষে, বাক স্বাধীনতার পক্ষে আপোষহীন অবস্থানে লড়ে যাচ্ছেন। বেগম জিয়ার এই ঐতিহাসিক ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ বেগম জিয়াকে মাদার অব ডেমোক্রেসি এ্যাওয়ার্ড ভূষিত করা কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনকে আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি।
জীবনব্যাপী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য মাদার অব ডেমোক্রেসি এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা জানাচ্ছি অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। বেগম জিয়ার এই এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির সঙ্গে আমাদের প্রত্যাশা দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান হবে, অবরুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।